যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী বিতর্ক

ক্যাপিটল হিল দাঙ্গা ইস্যুতে ট্রাম্পকে নাস্তানাবুদ করলেন হ্যারিস

বণিক বার্তা অনলাইন

ছবি- এবিসি

যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিসের সঙ্গে রিপাবলিকান প্রার্থী ও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যকার প্রথম ও সম্ভবত একমাত্র নির্বাচনী বিতর্কটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। পেনসিলিভানিয়ায় স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে অনুষ্ঠিত এই বিতর্কে হ্যারিস ও ট্রাম্প পরস্পরকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করেছেন। ক্যাপিটল হিল দাঙ্গা ইস্যুতে ট্রাম্পকে নাস্তানাবুদ করেন হ্যারিস। খবর রয়টার্স।

পূর্বাভাস অনুযায়ী হ্যারিস ট্রাম্পকে বিরক্ত করার চেষ্টা করেছেন। অনেকের মতে, তার এই পন্থা কার্যকর হয়েছে। ট্রাম্পের সমাবেশ নিয়ে বিতর্কে হ্যারিস বলেন, উইন্ডমিল ক্যান্সার সৃষ্টি করে— ট্রাম্প যেখানে এমন অদ্ভুত কথা বলবেন সেখান থেকে মানুষ ক্লান্তি ও বিরক্তির কারণেই চলে যাবেন। হ্যারিসের এমন কথায় রেগে যান নিজের সমাবেশ নিয়ে গর্ব করা ট্রাম্প। তিনি বলেন, আমাদের সমাবেশগুলোতে সবচেয়ে বেশি মানুষ হয়। তিনি হ্যারিসকে তার সমাবেশে বাসে করে মানুষ আনার অভিযোগ করেন।

হ্যারিসের আরেকটি লক্ষ্য ছিল ট্রাম্পের অতীত কাজের জন্য তাকে দোষারোপ করা, বিশেষত ২০২০ সালের নির্বাচনী ফলাফল উল্টে দেয়ার প্রচেষ্টার জন্য। এক ঘণ্টার বিতর্কের পর হ্যারিসের কৌশলটি কার্যকর বলে মনে হয়েছে। ট্রাম্প ক্রমাগত রক্ষণাত্মক অবস্থানে ছিলেন। ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি, মার্কিন ক্যাপিটলের ওপর আক্রমণের বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, আমি কিছুই করিনি। তারা (রিপাবলিকান সমর্থক) শুধু আমাকে একটি ভাষণ দিতে বলেছিল।

নিজ কর্মকাণ্ডকে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের জন্য নতুন সূচনা বলে অভিহিত করেছেন কমলা হ্যারিস। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ৮১ মিলিয়ন মানুষ বরখাস্ত করেছে।

ট্রাম্প এই বিতর্কে ভুলভাবে দাবি করেন যে, অবৈধ অভিবাসীরা ওহাইওর স্প্রিংফিল্ড শহরে মানুষের পোষা প্রাণী হত্যা করে খাচ্ছে এবং সামাজিক প্ল্যাটফর্মে তা প্রচারিতও হয়েছে। স্প্রিংফিল্ড শহরের কর্মকর্তারা ইতোমধ্যেই এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলোকে মিথ্যা বলে ঘোষণা করেছেন বলেও মন্তব্য করেন বিতর্কের আয়োজক এবিসি মডারেটররা। ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের পর হ্যারিস হেসে বলেন, অত্যন্ত চরম (এক্সট্রিম) বক্তব্য।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন