ছবি : সংগৃহীত কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পাঁচটি ক্যাটাগরিতে কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা এআইপি সম্মাননা-২০২১ পাচ্ছেন ২২ জন। এরই মধ্যে নির্বাচিত ব্যক্তিদের গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। গতকাল কৃষি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বীকৃত বা সরকার কর্তৃক নিবন্ধিত কৃষি সংগঠন শ্রেণীতে তিনজনকে এআইপি নির্বাচিত করা হয়েছে। তারা হলেন গণমাধ্যমে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কৃষি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য চ্যানেল আইয়ের এমডি শাইখ সিরাজ, চট্টগ্রামভিত্তিক সংগঠন তিলোত্তমার প্রতিষ্ঠাতা সাহেলা আবেদীন ও সাতক্ষীরার ধানদিয়া সিআইজি মহিলা সমবায় সমিতির সভাপতি শিখা রানী চক্রবর্তী।
জাত বা প্রযুক্তি উদ্ভাবন শ্রেণীতে নির্বাচিত ব্যক্তিরা হলেন এসিআই এগ্রিবিজনেসের প্রেসিডেন্ট একেএম ফারায়েজুল হক আনসারী, কুমিল্লার দাউদকান্দির বিষমুক্ত নিরাপদ সবজির কৃষি উদ্যোক্তা এমএ মতিন, কৃষি যান্ত্রিকীকরণের জন্য চুয়াডাঙ্গার জনতা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের স্বত্বাধিকারী মো. ওলি উল্লাহ এবং জৈব বালাইনাশক ব্যবহারের জন্য বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলা চেয়ারম্যান স্বপন কুমার দাশ।
কৃষি উৎপাদন, বাণিজ্যিক খামার স্থাপন ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত শিল্প শ্রেণীতে ১০ জন সম্মাননা পেয়েছেন। তারা হলেন উন্নত জাতের ফল চাষের জন্য টাঙ্গাইলের মধুপুরের কৃষি উদ্যোক্তা মো. ছানোয়ার হোসেন, পেঁয়াজ বীজ চাষের জন্য ফরিদপুরের খান বীজ ভাণ্ডারের স্বত্বাধিকারী শাহীদা বেগম, সাথী ফসল উৎপাদন করে জমির সর্বোত্তম ব্যবহারের জন্য খুলনার ডুমুরিয়ার কৃষি উদ্যোক্তা সুরেশ্বর মল্লিক, ফল চাষের জন্য চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের গ্রিন প্ল্যানেট এগ্রোর স্বত্বাধিকারী মো. রুহুল আমীন, জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করায় সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের এগ্রো বেইজড সোশিও ইকোনমিক্যাল ডেভেলপমেন্ট সার্ভিসেসের চেয়ারম্যান মো. সাখাওয়াত হোসেন, দুগ্ধ উৎপাদনে পাবনার ঈশ্বরদীর তন্ময় ডেইরি খামারের স্বত্বাধিকারী মো. আমিরুল ইসলাম। মাছ চাষে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের আল-বারাকা মৎস্য খামার অ্যান্ড হ্যাচারির স্বত্বাধিকারী মাছুদুল হক চৌধুরী, ঠাকুরগাঁওয়ের মৌচাষী মো. রফিকুল ইসলাম, সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের ফলচাষী সিরাজ বহুমুখী খামারের স্বত্বাধিকারী মো. সিরাজুল ইসলাম ও শেরপুরের ফলচাষী মা-বাবার দোয়া ফ্রুট গার্ডেন নার্সারি অ্যান্ড এগ্রো ফার্মের স্বত্বাধিকারী মো. হযরত আলী।
রফতানিযোগ্য কৃষিপণ্য উৎপাদন শ্রেণীতে দুজন এআইপি সম্মাননার জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। বৃক্ষরোপণ ও বনসাই নার্সারির জন্য গাজীপুরের লিভিং আর্ট গার্ডেনের পরিচালক কেএম সবুজ ও বারোমাসি আম চাষী চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের মোহা. রফিকুল ইসলাম।
এছাড়া বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কারে স্বর্ণপদক শ্রেণীতে তিনজনকে এআইপি সম্মাননার জন্য নির্বাচন করা হয়েছে। জৈবসার ও কেঁচোসার উৎপাদক নীলফামারীর ডোমারের অন্নপূর্ণা এগ্রো সার্ভিসের স্বত্বাধিকারী রাম নিবাস আগরওয়ালা, বাণিজ্যিক কৃষি খামারি হিসেবে ঢাকার নবাবগঞ্জের অমিত ডেইরি ফার্মের স্বত্বাধিকারী মায়া রানী বাউল ও সফল বীজ উৎপাদনকারী পাবনার আটঘরিয়ার মো. আবদুল খালেক।
কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, ৭ জুলাই রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২১ সালের এআইপি পুরস্কার প্রদান করা হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী উপস্থিত থাকবেন।
প্রসঙ্গত, এআইপি নীতিমালা অনুযায়ী প্রতি বছর মোট পাঁচটি ক্যাটাগরিতে এআইপি সম্মাননা প্রদান করা হয়ে থাকে। এআইপি কার্ডের মেয়াদকাল এক বছর। এআইপিরা সিআইপিদের মতো সুযোগ-সুবিধা পান। এর মধ্যে রয়েছে মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রশংসাপত্র, সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশ পাস, বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানে নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ, বিমান, রেল, সড়ক ও জলপথে ভ্রমণকালীন সরকার পরিচালিত গণপরিবহনে আসন সংরক্ষণ অগ্রাধিকার, নিজের ও পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালের কেবিন সুবিধা প্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার এবং বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার সুবিধা।
