এমপি আজীম খুনের তদন্তে পশ্চিমবঙ্গে ডিবির দল

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের তিন সদস্যের তদন্ত দল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় পৌঁছেছেন। সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম খুনের ঘটনা তদন্তে তারা গতকাল কলকাতা যান। গোয়েন্দা দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। সঙ্গে আছেন গোয়েন্দা পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার মু. আ. আহাদ ও অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. শাহিদুর রহমান। 

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশের দলটি সেখানে গিয়ে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলবেন। ঘটনাস্থল ঘুরে দেখাসহ সংশ্লিষ্ট যাদের সঙ্গে কথা বলা দরকার তাদের সঙ্গে কথা বলবেন। তদন্তের প্রয়োজনে যে কয়দিন থাকা প্রয়োজন তারা সে কয়দিন অবস্থান করবেন।’

কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছে ঢাকার গোয়েন্দা দলের প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘ইন্টারপোলের মাধ্যমে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহীনকে ফেরাতে তারা কাজ করবেন। তিনি বাংলাদেশ থেকে দিল্লি, কাঠমান্ডু, দুবাই হয়ে হয়তো যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়েছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। আরেক অভিযুক্ত সিয়ামের অবস্থানও নেপালে। তাকে ধরতে দুই দেশের পুলিশ কাজ করছে।’ 

আনোয়ারুল আজীম হত্যায় বাংলাদেশের হয়ে তদন্ত করছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সিআইডি তদন্ত করছে কলকাতা পুলিশের করা মামলাটি। হত্যার পর ২৩ মে পশ্চিমবঙ্গ সিআইডির চার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকায় আসেন। ঢাকায় গ্রেফতার তিনজনকে ৩ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে ডিবি জানায়, ১২ মে দর্শনা সীমান্ত হয়ে কলকাতায় যান আনোয়ারুল আজীম। পরদিন কলকাতার নিউ টাউনের সঞ্জিভা গার্ডেনসের একটি ফ্ল্যাটে তিনি খুন হন। ২২ মে তার খুন হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে দুই দেশের পুলিশ। এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহীন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। তিনি খুনের পর নেপালের কাঠমান্ডু হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যান। 

ঝিনাইদহ-৪ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি ১১ মে চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। প্রথমে কলকাতার বরাহনগরে তার বন্ধু স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন। সেখান থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন। এরপর স্থানীয় থানায় জিডি করেন গোপাল বিশ্বাস। তদন্ত শুরু হয় দুই দেশে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে খবর আসে, নিউ টাউনের এক বাড়িতে খুন হয়েছেন এমপি আনার। এর পরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ভারতের পুলিশের বরাত দিয়ে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ ঘটনায় বাংলাদেশে তিনজনকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন