রাজধানীতে মানববন্ধনে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা

দুর্যোগের ঝুঁকিতে থাকা উপকূলের উন্নয়নে জাতীয় বাজেটে বিশেষ বরাদ্দের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : লিডার্স

প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিতে থাকা উপকূলের উন্নয়নে জাতীয় বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখার দাবি জানিয়েছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। তারা বলেছেন, দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে একের পর এক দুর্যোগ আঘাত হানছে। ঝুঁকি মোকাবেলায় সরকার টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ, পানি সংকট নিরসন ও বনায়নসহ অন্যান্য প্রকল্প নিলেও পর্যাপ্ত বাজেটের অভাবে তা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এ কারণে উপকূলের উন্নয়নে আগামী জাতীয় বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ দেয়া জরুরি।

শনিবার (২৫ মে) ঘূর্ণিঝড় ‘আইলা’র ১৫ বছর পূর্তিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশে তারা এসব কথা বলেন। উন্নয়ন সংস্থা ‘লিডার্স’ এবং নাগরিক সংগঠন ‘সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন’ আয়োজিত কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র। বক্তব্য রাখেন ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী, নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন আন্দোলনের (পারিজা) সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জল, বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কল্যাণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ, সচেতন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সাকিলা পারভীন, নারী প্রগতি সংঘের ব্যবস্থাপক মো. হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।

সমাবেশে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল সবচেয়ে বেশি দুর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ। আইলার মতো একের পর এক দুর্যোগের কারণে ওই অঞ্চলে জীবন-জীবিকার ঝুঁকি বেড়েছে। ফলে সাধারণ মানুষ এলাকা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে। উন্নয়নকে টেকসই করতে হলে উপকূলীয় এলাকাকে বাদ দিয়ে সম্ভব নয়। তাই উপকূলের উন্নয়নের জন্য সুনির্দিষ্ট উন্নয়ন পরিকল্পনা নিতে হবে। সে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পৃথক বাজেট বরাদ্দ দিতে হবে।

অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী বলেন, উপকূলে দুর্যোগের ঝুঁকি মোকাবেলায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হলেও তার বাস্তবায়ন কাজ চলছে ধীর গতিতে। অন্যদিকে শতাধিক পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ থাকলেও কোনো প্রকল্প নেয়া হয়নি। তাই চরম ঝুঁকির মধ্যে দিন কাটাচ্ছে ওই অঞ্চলের জনগণ। এ ঝুঁকি মোকাবেলায় জাতীয় বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখতে হবে।

সমাবেশে বক্তারা উপকূলীয় অঞ্চলের উন্নয়নে পৃথক বোর্ড গঠনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, উপকূলীয় জনগণের নিরাপদ খাবার পানির টেকসই ও স্থায়ী সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। উপকূলে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি সম্প্রসারণ ও সুন্দরবন সুরক্ষার কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। নদ-নদী ও জলাশয় রক্ষায় আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত ও জনসচেতনতা বাড়াতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন