আইসিজের রায়

রাফায় ইসরায়েলের অভিযান অবশ্যই বন্ধ করতে হবে

বণিক বার্তা ডেস্ক

ছবি : সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) বলেছেন, ফিলিস্তিনের রাফা শহরে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। দক্ষিণ আফ্রিকার করা এক মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল এ রায় দেন জাতিসংঘের এ শীর্ষ আদালত। খবর বিবিসি।

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরে হামলা বন্ধের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু নির্দেশও দিয়েছেন আইসিজে। আদালত বলেছেন, রাফার মিসর সীমান্তবর্তী ক্রসিং অবশ্যই উন্মুক্ত রাখতে হবে, যেন মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে পারে। তদন্তের জন্য ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনকে গাজায় প্রবেশের অনুমতি দেয়ার নির্দেশও দিয়েছেন আইসিজে। এসব নির্দেশ পালনের অগ্রগতি তুলে ধরে আগামী এক মাসের মধ্যে ইসরায়েলকে আইসিজেতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় এবং কয়েকশ মানুষকে হত্যা ও জিম্মি করে। এ হামলার প্রতিশোধ নিতে পাল্টা হামলা চালায় ইসরায়েল। এ হামলায় ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনির প্রাণ গেছে। নিহতদের এক-তৃতীয়াংশের বেশি শিশু। অনেক অন্তঃসত্ত্বা নারীর প্রাণও গেছে। বেসামরিক এসব ফিলিস্তিনির মৃত্যুর বিচার চেয়ে গত নভেম্বরে আইসিজেতে মামলাটি করে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই মামলায় গতকাল অন্তর্বর্তী আদেশ দিলেন আইসিজে। 

রায় পড়ে শোনান আইসিজের প্রেসিডেন্ট নওয়াফ সালাম। তিনি বলেন, ‘গত মার্চে আদালত গাজা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার আদেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু এখনো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। ফলে নতুন করে এ জরুরি আদেশ দেয়া হলো।’ তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলকে অবিলম্বে সামরিক হামলা বন্ধ করতে হবে। রাফায় যেকোনো আক্রমণ ফিলিস্তিনিদের ওপর প্রভাব ফেলবে এবং এটি গাজাবাসীর জীবনকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে পারে।’ 

ইসরায়েল আইসিজের সদস্য নয়। ফলে তারা রায় মানবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এছাড়া এ রায় বাস্তবায়নে আইসিজের ক্ষমতার সীমাবদ্ধতাও আছে। আইসিজের রায়ের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হামাসের এক মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা এ আদেশকে স্বাগত জানাই।’ অন্যদিকে আইসিজের রায়কে ‘নৈতিক ব্যর্থতা’ হিসেবে উল্লেখ করে ইসরায়েলের বিরোধীদলীয় নেতা ইয়ার লাপিদ বলেছেন, ‘আমরা হামাসের নির্মম হামলা থেকে আত্মরক্ষা করতে বাধ্য হয়েছি।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন