শোভন কর্মপরিবেশ তৈরিতে বিনিয়োগ করতে হবে —স্পিকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ‘শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ গুরুত্বপূর্ণ শ্রমিক অধিকার। উন্নত কর্মপরিবেশ শ্রমিকের কর্মদক্ষতা ও প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন বৃদ্ধি করে। তাই শোভন কর্মপরিবেশ তৈরিতে বিনিয়োগ করতে হবে।’

গতকাল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আয়োজিত জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ অনুষ্ঠানে ১২ খাতের ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

অনুষ্ঠানে স্পিকার বলেন, ‘শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আমাদের সবার দায়িত্ব রয়েছে। সে জন্য সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। শ্রমিকদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সার্ভে করে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা নিতে হবে। এজন্য শ্রমিক-মালিক এবং সরকারকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘শ্রমিক ভাই-বোনেরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের কর্মস্থলে অবস্থান করেন। ফলে তাদের কর্মস্থলের শোভন পরিবেশ ঠিক রাখতে হবে।

সেখানে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস ও পানিসহ সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে। নির্মাণ শ্রমিকদের ক্ষেত্রে কনস্ট্রাকশন সাইটের বিষয়ে অধিক সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। এ তীব্র তাপপ্রবাহে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সাইকোলজিক্যাল হ্যাজার্ড এবং শারীরিক হ্যাজার্ড হতে পারে। সেগুলোর জন্য উন্নত বিশ্বের মতো সার্ভে করে পদক্ষেপ নিতে হবে।’

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মো. আব্দুর রহিম খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশে আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর টুওমো পোটিআইনেন, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি নূর কুতুব আলম মান্নান, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি আরদাশীর কবির, বিজেএমইএ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. তরিকুল আলম, বিকেএমইএর সিনিয়র সহসভাপতি মানসুর আহমেদ, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচএম ইব্রাহীম এমপি এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।

কর্মক্ষেত্রে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিধিবিধান পালনকে সংস্কৃতি হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০১৬ সাল থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশে জাতীয়ভাবে দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) ২০০৩ সাল থেকেই দিবসটি পালন করে আসছে। দিবসটি উপলক্ষে ঢাকাসহ দেশের সব শ্রমঘন এলাকায় যৌথভাবে প্রচারণামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এ বছর নবমবারের মতো দিবসটি পালন করা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের ৩১টি উপ-মহাপরিদর্শকের কার্যালয়ের অধিক্ষেত্রে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা এবং অন্য জেলায় জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় দিবসটি পালন করা হয়।

দিবস পালন উপলক্ষে গতকাল সকাল ১০টায় রাজধানীর খামারবাড়ি থেকে শোভাযাত্রা বের করা হবে। পরে বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন