সাতক্ষীরার ভোমরা বন্দর

৯ মাসে ৪৩ হাজার টন শুকনা মরিচ আমদানি

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা

ছবি : বণিক বার্তা ( ফাইল ছবি)

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে শুকনা মরিচের আমদানি বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) বন্দরটি দিয়ে মসলাজাত পণ্যটি আমদানি হয়েছে ৪৩ হাজার ১৩২ টন, যা আগের অর্থবছরে আমদানীকৃত পরিমাণের চেয়ে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার টন বেশি। ব্যবসায়ী আমদানিকারকরা বলছেন, দেশীয় বাজারে চাহিদা বাড়ায় শুকনা মরিচের আমদানি বেড়েছে।

অন্যদিকে বন্দরে আমদানি বাড়লেও বাজারে তার প্রভাব পড়ছে না বলে অভিযোগ ভোক্তাদের। গতকাল সাতক্ষীরা সদরের সুলতানপুর বড় বাজারের কয়েকটি মসলা আড়ত ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি শুকনা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪৫০-৪৬০ দরে, যা এক-দেড় মাস আগেও একই দামে বিক্রি হয়েছে। কারণ জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা বলেন, ভোমরা বন্দরে যে পরিমাণ শুকনা মরিচ আমদানি হয়, তার অধিকাংশ চলে যায় জেলার বাইরে। ফলে পণ্যটি আমদানি বাড়লেও তার প্রভাব সাতক্ষীরার হাটবাজারগুলোয় পড়ছে না।

ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব শাখা থেকে জানা গেছে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ পর্যন্ত বন্দরটি দিয়ে শুকনা মরিচ আমদানি হয়েছে ৪৩ হাজার ১৩২ টন, যার আমদানি মূল্য হাজার ৮৬ কোটি লাখ টাকা। অন্যদিকে গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে ভোমরা বন্দর দিয়ে পণ্যটি আমদানি হয়েছিল ৩৭ হাজার ৭৮৭ টন। আমদানি মূল্য ছিল ৯২৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা। হিসাব অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের গত নয় মাসে বন্দর ব্যবহার করে শুকনা মরিচের আমদানি বেড়েছে হাজার ৩৪৫ টন।

ভোমরা বন্দরের অন্যতম মসলাজাত পণ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাফসান এন্টারপ্রাইজ। প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী আবু হাসান জানান, গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছর তার প্রতিষ্ঠানে শুকনা মরিচ আমদানি বেড়েছে। সপ্তাহে ১০-১২ ট্রাক শুকনা মরিচ আমদানি হচ্ছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৫-৩০ শতাংশ বেশি।

সাতক্ষীরা জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা এমএম আব্দুল্লা বণিক বার্তাকে বলেন, ‘জেলায় শুকনা মরিচের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। গত এক-দেড় মাস ধরে প্রায় একই রয়েছে পণ্যটির দাম। তবে ভোমরা বন্দর দিয়ে যে পরিমাণ শুকনা মরিচ আমদানি হচ্ছে, তাতে দাম কমে যাওয়ার কথা। কিন্তু কেন কমছে না, সেটি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন