রোগ-বালাই ও খরার প্রভাব

ভুট্টার বৈশ্বিক উৎপাদন পূর্বাভাস কমিয়েছে আইজিসি

বণিক বার্তা ডেস্ক

ছবি: রয়টার্স

রোগ-বালাইয়ের প্রাদুর্ভাব খরার প্রভাবে দক্ষিণ গোলার্ধের দেশগুলো ভুট্টা উৎপাদনে হিমশিম খাচ্ছে। ফলে শস্যটির বৈশ্বিক উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। সম্প্রতি এমনটা জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল গ্রেইন কাউন্সিল (আইজিসি) সংস্থাটি ২০২৪-২৫ মৌসুমের জন্য ভুট্টার বৈশ্বিক উৎপাদন পূর্বাভাস সংশোধন করে কমিয়েছে।

আইজিসি সম্প্রতি খাদ্যশস্যের বাজারবিষয়ক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে মার্চে দেয়া পূর্বাভাসের তুলনায় উৎপাদন ৭০ লাখ টন কমিয়ে ১২২ কোটি ৬০ লাখ টন ধরা হয়েছে। তবে এটি এখনো অন্যান্য সময়ের তুলনায় রেকর্ড সর্বোচ্চ। গত বছরের তুলনায় উৎপাদন শতাংশ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

পূর্বাভাসে খাদ্যশস্যের মোট বৈশ্বিক উৎপাদনও কোটি টন কমিয়ে ধরা হয়েছে। সে হিসেবে উৎপাদন দাঁড়াতে পারে ২৩২ কোটি ২০ লাখ টন। এটিও অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি।

আইজিসি জানায়, আগের মৌসুমের থেকে যাওয়া মজুদের পরিমাণ অনেক কম। তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রে ভুট্টা উৎপাদন আশঙ্কাজনক হারে কমে যেতে পারে। দুটি বিষয় বিবেচনায় নিয়েই মূলত খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক উৎপাদন পূর্বাভাস কমানো হয়েছে।

নতুন পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ মৌসুমে গমের বৈশ্বিক উৎপাদন দাঁড়াতে পারে ৭৯ কোটি ৮০ লাখ টনে, যা ২০২৩-২৪ মৌসুমের তুলনায় ৯০ লাখ টন বেশি। পূর্বাভাস সত্য হলে এটি হতে যাচ্ছে ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উৎপাদন।

এদিকে চালের উৎপাদন পূর্বাভাসও মার্চের তুলনায় ১০ লাখ টন কমানো হয়েছে। নতুন করে উৎপাদনের পরিমাণ ধরা হয়েছে ৫২ কোটি টন। শস্যটির বাণিজ্যের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে কোটি টনে, যা আগের পূর্বাভাসের মতোই অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। তবে এটির ব্যবহার পূর্বাভাস কমিয়ে ৫১ কোটি ৪০ লাখ টন ধরা হয়েছে।

আইজিসি মার্চে খাদ্যশস্যের ৫৯ কোটি ২০ লাখ টন সমাপনী মজুদের পূর্বাভাস দিয়েছিল। এবার তা ৯০ লাখ টন কমানো হয়েছে। তবে এটি ২০২৩-২৪ মৌসুমের তুলনায় কিছুটা বেশি। পূর্বাভাস সত্য হলে সমাপনী মজুদ আট বছরের নিম্নমুখী প্রবণতা থেকে ঘুরে দাঁড়াবে। আইজিসি আরো জানায়, খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক বাণিজ্য শতাংশ কমে ৪১ কোটি ৮০ লাখ টনে নামতে পারে। বিশেষ করে গম ভুট্টার বাণিজ্যে বড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে সয়াবিনের বৈশ্বিক উৎপাদন গত বছরের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছে আইজিসি। পূর্বাভাস অনুযায়ী, উৎপাদন দশমিক শতাংশ বেড়ে ৪০ কোটি ৩০ লাখ টনে উন্নীত হতে পারে। এটির ব্যবহার ৪০ কোটি ৪০ লাখ টন, বাণিজ্য ১৭ কোটি ২০ লাখ টন এবং সমাপনী মজুদ দাঁড়াতে পারে কোটি ৫০ লাখ টনে।

আইজিসি খাদ্যশস্য তেলবীজের মূল্যসূচকও মার্চের তুলনায় কিছুটা কমিয়েছে। এপ্রিলে সূচক মান ধরা হয়েছে ২২৪ পয়েন্ট, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২১ শতাংশ কম।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন