বাংলাদেশে প্রবেশ করা মিয়ানমারের
১৮০ জন সীমান্তরক্ষী ও সেনাসদস্যকে ফেরত পাঠানোর পাশাপাশি মিয়ানমারে আটকা পড়া ১৭০ জন
বাংলাদেশীকে দেশে আনার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকার সেগুনবাগিচায়
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের ১৭৭ জন বর্ডার
গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্য ও পরবর্তীতে তাদের তিনজন সেনাসদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
আমাদের সঙ্গে আলোচনায় মিয়ানমার সরকার তাদের ফেরত নিতে সম্মত হয়েছে। তারা নৌপথের প্রস্তাব
দিয়েছিল, আমরা এ সপ্তাহেই তাদের ফেরত পাঠাবো আশা করছিলাম কিন্তু সমুদ্র অনুকূলে না
থাকায় আগামী সপ্তাহে বা সমুদ্র শান্ত হলে সহসাই তাদের পাঠানো হবে।
পাশাপাশি আমরা মিয়ানমারে আটকা পড়া ১৭০
জন বাংলাদেশীকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছিলাম, সেটিতেও তারা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে
বলে জানান ড. হাছান।
রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় ১৩ মার্চ জেনেভায়
অনুষ্ঠিত জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান (জেআরপি) সভায় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কেমন সাড়া মিলছে—এ
প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সুইজারল্যান্ডে জেআরপি সভায় আমাদের পররাষ্ট্র সচিব
এবং প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব যোগ দিয়েছেন। আমাদের প্রস্তাবিত অর্থ ও সহযোগিতায় গত
বছরের তুলনায় ভালো সাড়া মিলছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী
লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দুর্নীতি
ও মানি-লন্ডারিংয়ের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই পর্যন্ত এসে সাক্ষ্য দিয়ে গেছে।
আর তার ছোট ভাই অর্থাৎ খালেদা জিয়ার দ্বিতীয় পুত্র কোকোর পাচার করা টাকা সিঙ্গাপুর
থেকে উদ্ধার করে আনা হয়েছে। শুধু তাই নয়, তারা ক্ষমতায় থাকতে পরপর পাঁচবার দেশ বিশ্বে
দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে -এসব ঢাকতেই তাদের এত কথা।
বিএনপির নেতাদের মধ্যে কথা বলার প্রতিযোগিতাও
আছে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, তাদের মির্জা ফখরুল সাহেব, রিজভী সাহেব আবার মঈন খান
সাহেবের মধ্যে কথা বলার প্রতিযোগিতাও এ সব অবাস্তব কথা বলার আরেক কারণ। এর মধ্যে রিজভী
সাহেবের কথা এত অশালীন ও বাস্তবতাবিবর্জিত যে মনে হয় তার চিকিৎসা প্রয়োজন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে লর্ড জেরেমি
পারভিসের সাক্ষাত
এর আগে মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন যুক্তরাজ্যের লিবারেল ডেমোক্র্যাট পার্টির পররাষ্ট্র
বিষয়ক মুখপাত্র (লর্ডস স্পোকসপার্সন) লর্ড জেরেমি পারভিস।
বৈঠক প্রসঙ্গে মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় অব্যাহত সহযোগিতা এবং রোহিঙ্গা সমস্যা মোকাবিলায় যুক্তরাজ্যের ভূমিকার জন্য লর্ড জেরেমিকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। তাদের লর্ডসভা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে ভূমিকা রাখার বিষয়সহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানা ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা হয়েছে।