পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদ ভাগাভাগি করবে পিপিপি ও পিএমএল-এন

বণিক বার্তা ডেস্ক

ছবি : রয়টার্স

পাকিস্তানে নির্বাচনের পর পাঁচদিন পার হয়েছে। কিন্তু কোনো দল সরকার গঠন করতে পারেনি। সংবিধান মোতাবেক, নির্বাচনের পর থেকে তিন সপ্তাহ অর্থাৎ ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে সরকার গঠন করতে হবে। নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও তৃতীয় স্থান পাওয়া পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) সরকার গঠনে পরস্পরকে সহযোগিতা করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। তবে সরকার গঠন করলে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন সেটি এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দাবি জানাচ্ছে দুই দলই। সেক্ষেত্রে এ সমস্যা সমাধানে ক্ষমতা ভাগাভাগির আওতায় অর্ধমেয়াদে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেয়ার সম্ভাবনা ভেবে দেখছে উভয় দল।

জিও নিউজ জানায়,   ৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের পর ক্ষমতা ভাগাভাগির ফর্মুলা নিয়ে রোববার বৈঠক করছে দুই দল। এ ফর্মুলার আওতায় কেন্দ্র ও প্রদেশে জোট সরকারের পাঁচ বছর মেয়াদের অর্ধেক সময়ের জন্য পিপিপি এবং বাকি অর্ধেক সময়ের জন্য পিএমএল-এন তাদের দল থেকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেবে—এমন সম্ভাবনা নিয়ে দুপক্ষ আলোচনা করেছে।

এর আগে ২০১৩ সালে বেলুচিস্তানে পিএমএল-এন এবং ন্যাশনাল পার্টি (এনপি) মিলে প্রথম ক্ষমতা ভাগাভাগি ফর্মুলার মাধ্যমে সরকার গঠন করেছিল। তখন দুদলের দুই মুখ্যমন্ত্রী পাঁচ বছর মেয়াদের অর্ধেক সময়ের জন্য দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

রোববার লাহোরের বিলাওয়াল হাউজে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দুই পক্ষই সাধারণ নির্বাচনের পর পাকিস্তানে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য সহযোগিতা করতে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে।

বৈঠকে পিপিপির সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি, পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি এবং পিএমএল-এনের পক্ষ থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ উপস্থিত ছিলেন।

পরে এক যৌথ বিবৃতি বলা হয়, বৈঠক সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতির স্বার্থ ও কল্যাণকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে রাখার অঙ্গীকার করেছে উভয় পক্ষ।

বৈঠকের আলোচনা অনুযায়ী, পিএমএল-এন আনুষ্ঠানিকভাবে পিপিপিকে জোট সরকার গঠনের প্রস্তাব দেয়। পিএমএল-এন নেতারা পিপিপিকে স্বতন্ত্র আইনপ্রণেতা এবং এমকিউএম-পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের যোগাযোগের জন্য প্রশংসাও করেছেন।

পিএমএল-এন নেতারা এরপর প্রধানমন্ত্রীর পদ তাদের দখলে রাখার দাবি জানালে পিপিপির সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি বলেন, তাদের দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি এরই মধ্যে বিলাওয়ালকে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য মনোনীত করেছে।

এর পরই দুই দলের নেতারা পালাক্রমে প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতায় বসানোর সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। পাঁচ বছর মেয়াদের অর্ধেক সময়ের জন্য নিজ নিজ দলের প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখেন তারা।

এ বিষয়টিতে এখনো সুরাহা না হলেও দলগুলো কেন্দ্র, পাঞ্জাব ও বেলুচিস্তানে জোট সরকার গঠনে সম্মত হয়েছে। ২০০৬ সালে উভয় দল গণতন্ত্রের যে সনদ সই করেছিল তার আলোকে তারা পাঁচ বছরের পথনকশা তৈরির প্রস্তাব উত্থাপন করেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন