খাদ্যপণ্যের বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত প্রবিধানমালা হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

খাদ্যপণ্যের বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত প্রবিধানমালা প্রণয়ন করছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) প্রশিক্ষণ কক্ষে ‘নিরাপদ খাদ্য (বিজ্ঞাপন ও দাবি) প্রবিধানমালা, ২০২৪ এর খসড়া উপস্থাপন ও অংশীজনের মতামত গ্রহণ বিষয়ক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

১৬টি অনুচ্ছেদ সম্বলিত এ প্রবিধানমালা অনুযায়ী খাদ্যপণ্যের বিজ্ঞাপনে অসত্য তথ্য দিলে, বিজ্ঞাপনের ভাষা কোনো নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের অনুভূতিতে আঘাত করলে, অশ্লীল বা কুরুচিপূর্ণ শব্দ ব্যবহার করলে কিংবা সমজাতীয় খাদ্যপণ্যকে শ্রেষ্ঠ হিসেবে দাবি করলে জরিমানার আওতায় নিয়ে আসবে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।

এছাড়াও খাদ্যপণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচারের শর্ত, পুষ্টি সংক্রান্ত দাবির শর্ত, লবণ অসংযোজন সংক্রান্ত দাবি, সংযোজন দ্রব্যের ব্যবহার সংক্রান্ত তথ্য, স্বাস্থ্য সহায়ক দাবি, নিষিদ্ধ দাবি সংক্রান্ত বিষয়, চিনির অসংযোজন সংক্রান্ত দাবি, বিজ্ঞাপন বিষয়ক অভিযোগ নিষ্পত্তির সংক্রান্ত এবং প্রবিধানমালা লঙ্ঘন করলে কী কী শাস্তি পাবে তা বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে এ খসড়ায়।

প্রবিধানমালা লঙ্ঘন করে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞাপন প্রচার করলে কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণাৎভাবে ওই বিজ্ঞাপনের প্রচার বন্ধ করার এখতিয়ারের বিষয়েও বলা হয়েছে।

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য নাজমা বেগমের স্বাগত বক্তব্যে শুরু হওয়া এ সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফএসএ'র সাবেক সদস্য জনাব মো. রেজাউল করিম। তিনি বলেন, বিভ্রান্তিমূলক বা অমূলক বিজ্ঞাপন বন্ধের উদ্দেশেই এ প্রবিধানমালা করা হচ্ছে। ভোক্তার প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে তাদের দাবির বিষয়গুলো অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া কোডেক্সের নীতিমালাও অনুসরণ করা হয়েছে।

সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক রাজিয়া বেগম আলোচক হিসেবে তার বক্তব্যে বলেন, "এই প্রবিধানমালার বাস্তবায়ন কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে এবং এটি ব্যাপকভাবে গণমাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে।"

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন খাদ্যপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত হয়ে তাদের মতামত প্রদান করেন। কর্তৃপক্ষ প্রাপ্ত মতামতসমূহ প্রবিধানমালায় অর্ন্তভুক্তির বিষয়ে আশ্বাস প্রদান করেন।

 

বেলা ১১টায় শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএফএসসের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকার। এ সময় তিনি সংশ্লিষ্ট কমিটির সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং অংশীজনের মতামতকে প্রবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার কথাও উল্লেখ করেন।

সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কর্তৃপক্ষের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নাজনীন আক্তার এবং সঞ্চালনা করেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের আইন কর্মকর্তা শেখ ফেরদৌস আরাফাত।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন