এক যুগেও সাগর-রুনি হত্যার প্রকৃত তদন্ত করেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী : রিজভী

বণিক বার্তা অনলাইন

ছবি : বণিক বার্তা

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের এক যুগেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রকৃত তদন্ত করেনি বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সোমবার নয়া পল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন, রাজধানী ঢাকাতেই নিজ বাসায় সাংবাদিক দম্পতির খুনের ঘটনার পর, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেফতার করা হবে। দুই দিন পর পুলিশের আইজি বলেছিলেন, তদন্তের ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। অবিশ্বাস্য বাস্তবতা হলো, মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়ার তারিখ এখন পর্যন্ত ১০৫ বার পিছিয়েছে। একটি হত্যা মামলায় ১০৫ বার তদন্ত প্রতিবেদন পেছানোও দৃষ্টান্তহীন আরেকটি নতুন বিশ্ব রেকর্ড।

তিনি আরো বলেন, আইন সালিশ কেন্দ্র ২০২২ সালে জানায়, দেশজুড়ে প্রায়ই হত্যা, গুম, খুন অপহরণসহ সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে এবং ১০ বছরে এই ধরনের ঘটনার শিকার হয়েছেন ৩০ সাংবাদিক, যার বিচার আজও হয়নি। গত ১৫ বছরে সাংবাদিক হয়রানি নির্যাতনের যে হাজারটিরও বেশি ঘটনা ঘটেছে, এর প্রায় প্রতিটির সাথে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের টেন্ডারবাজ, তদবিরবাজ দুর্নীতিবাজ নেতাকর্মীরা জড়িত বলে প্রতীয়মান।

সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আইনের অপপ্রয়োগ এবং সরকারের ভিন্নমত দমনের নানা প্রচেষ্টার দরুন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্সের করা বার্ষিক সূচকে দেখা যায়, প্রতি বছর বাংলাদেশের ধারাবাহিক অবনতি হচ্ছে। বিশ্বের ১৮০টি দেশের তালিকায় সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান ১৬৩তম।

রিজভী আরো বলেন, যেকোনো সমালোচনায় আওয়ামী সরকার বিপন্নবোধ করে বলেই আওয়ামী লীগ সাংবাদিকদের ওপর হামলার পাশাপাশি, গণমাধ্যমের স্বাধীন অস্তিত্ব বিপন্ন করার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। তাই তারা একের পর এক বন্ধ করেছে চ্যানেল ওয়ান, ইসলামিক টিভি, দিগন্ত টিভি, আমার দেশ, দৈনিক দিনকালসহ অসংখ্য অনলাইন পোর্টাল। ফলে হাজার হাজার সাংবাদিক বেকার হয়ে দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে। বাংলাদেশে আজ এমন এক পরিস্থিতি যে  কোনো সংবাদপত্র বা টিভি চ্যানেলের মালিকপক্ষে বিরোধী দলের ঘনিষ্ঠজন আছেন জানলে, জোরপূর্বক অবৈধভাবে সেগুলো বন্ধ করে দিচ্ছে জনবিদ্বেষী সরকার।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন