ঘুস নেয়ার দায়ে চাকরি হারালেন এনবিআরের কর কর্মকর্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক

বণিক বার্তা ফাইল ছবি

ঘুস নেয়ার দায়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সহকারী কর কমিশনার অভিজিৎ কুমারকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে। তাকে ২০১৯ সালে ঘুসের ৫০ হাজার টাকাসহ গ্রেফতার করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এনবিআরের ওয়েবসাইটে বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়। 

প্রজ্ঞাপন সূত্রে জানা যায়, দুদকের বগুড়া সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সহকারী কর কমিশনার অভিজিৎ কুমার দে দুর্নীতির অভিযোগে নিজ কার্যালয় থেকে ঘুসের টাকাসহ গ্রেফতার হন। এরপর তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এমন ঘটনায় ২০২১ সালের ১৯ আগস্ট অভিজিৎ কুমার দে’র বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ২ (খ) অনুযায়ী অসদাচরণের অভিযোগে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়েছিল। যার বিপরীতে অভিজিৎ কুমারের লিখিত জবাব সন্তোষজনক বিবেচিত হয়নি।

অন্যদিকে তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত বিভাগীয় মামলায় গুরুদণ্ড আরোপের পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়ায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৭ (২) (ঘ) অনুযায়ী অভিযোগ তদন্তের জন্য একজন তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়। ওই তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে কেন দোষী সাব্যস্ত করে ‘চাকরি থেকে অপসারণ করা হবে না’ সে বিষয়ে দ্বিতীয়বার তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়। ওই নোটিশের জবাবও সন্তোষজনক হয়নি।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, তদন্ত প্রতিবেদন ও বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের মতামতের ভিত্তিতে ‘চাকরি হতে অপসারণ’ দণ্ড প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে; যা রাষ্ট্রপতিও অনুমোদন করেছেন। 

দুদক সূত্রে জানা যায়, মো. জাকওয়ান ইসলাম নামের বগুড়ার এক ব্যবসায়ী বগুড়ার কর সার্কেল-১৪ এ কর্মরত কর্মকর্তা অভিজিতের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন। জাকওয়ানের অভিযোগ ছিল তার একটি করফাইল আপডেট করার জন্য অভিজিৎ ৫০ হাজার টাকা ঘুস চান।

এই অভিযোগের বিষয়ে প্রমাণ পাওয়ায় পরে মামলা দায়ের করে দুদক। ওই বিষয়েই অভিযুক্ত অভিজিতের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হলো।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন