জম্মু ও কাশ্মীরকে ‘বিশেষ মর্যাদা’
দেয়া ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করা মামলার রায় দিয়েছেন
দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। আজ সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দেয়া রায়ে শীর্ষ আদালত জানিয়েছেন, ওই
অনুচ্ছেদ বাতিল অসাংবিধানিক নয়। এ সংক্রান্ত রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত বৈধ।
আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে
বলা হয়, কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা দিয়ে অবিলম্বে বিধানসভা নির্বাচনের নির্দেশ দিয়েছে
আদালত। ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে।
২০১৯ সালে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা
বাতিল করে কেন্দ্র। এ রাজ্যকে দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখে ভাগ করা
হয়। এরপরেই সুপ্রিম কোর্টে এ পদক্ষেপের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একাধিক মামলা হয়। ওই সব
মামলাকে একত্রিত করে আজ রায় দেয়া হয়েছে।
গত ২ জুলাই থেকে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই
চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চে শুরু হয় ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মামলার ধারাবাহিক
শুনানি। বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি এস কে কল, সঞ্জীব খান্না, বিআর গভাই ও সূর্যকান্ত।
এদিকে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা
প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে ‘ঐতিহাসিক’ বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র মোদি। তার মতে, এ রায় ‘আশা, অগ্রগতি ও ঐক্যের বার্তা দেয়’।
রায়কে কেন্দ্র করে একাধিক কাশ্মীরের
শীর্ষ নেতাকে গৃহবন্দি করার অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগ তুলেছেন সাবেক মুখ্যমন্ত্রী তথা
এনসি নেতা ওমর আবদুল্লাহ। সুপ্রিম কোর্টের রায় সম্পর্কে এক্স বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমি
হতাশ। তবে আশাহত নই। আমাদের লড়াই জারি থাকবে। বিজেপির এই জায়গায় পৌঁছতে অনেক বছর লেগেছে।
আমরাও দীর্ঘ লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত।’
বিচারপতি সঞ্জীব খান্না বলেন, ‘কাশ্মীরে
অনুচ্ছেদ ৩৭০ অপ্রতিসম ফেডারালিজমের উদাহরণ ছিল। তা কখনো জম্মু ও কাশ্মীরের সার্বভৌমত্বের
নির্দেশক নয়। তাই ওই অনুচ্ছেদ বাতিল কাশ্মীরের ফেডারালিজম অক্ষুণ্ণই রেখেছে।’
এদিকে কাশ্মীরে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি
প্রসঙ্গে বিচারপতি সঞ্জয় কল বলেন, ‘শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করা সেনার কাজ। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা
রক্ষা তাদের কাজ নয়। কাশ্মীরে সেনা ঢোকায় তার কঠিন মূল্য দিতে হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।’