সামিট পাওয়ারের তিন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিদ্যুৎ খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি সামিট পাওয়ার লিমিটেডের (এসপিএল) তিনটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন শুরু হয়েছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) করা বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) পুনর্নবায়ন, ট্যারিফ নির্ধারণ, মেয়াদ ও শর্তের বিষয়ে আলোচনার পর ২২ নভেম্বর থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়। সামিট পাওয়ার সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

তথ্যানুসারে, সামিট পাওয়ারের আশুলিয়া, চান্দিনা ও মাধবদী বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচ বছর মেয়াদি পিপিএ ২২ নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে। গত ৩১ আগস্ট বিআরইবির পিপিএর মেয়াদ শেষ হয়েছিল। এরপর পুনরায় ৮ নভেম্বর চুক্তির মেয়াদ পাঁচ বছরের জন্য বাড়ানো হয়। 

অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২২-২৩ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৫ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময় যা ছিল ২ টাকা ৮৫ পয়সা। আলোচ্য হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৪৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময় যা ছিল ৮৩ পয়সা। চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে সমন্বিত শেয়ারপ্রতি নিট পরিচালন নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৮২ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময় যা ছিল ৪ টাকা ৩ পয়সা। গত ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৭ টাকা ৬৮ পয়সায়, ২০২২ সালের ৩০ জুন শেষে যা ছিল ৩৫ টাকা ৭২ পয়সা।

এর আগে ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত হিসাব বছরে সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৮৭ পয়সা এবং ৩০ জুন ২০২২ শেষে সমন্বিত এনএভিপিএস ৩৫ টাকা ৭২ পয়সা। সমন্বিত এনওসিএফপিএস হয়েছে ৫ টাকা ৯১ পয়সা।

৩০ জুন সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ৫ টাকা ২৫ পয়সা এবং ৩০ জুন ২০২১ শেষে সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা ৪৫ পয়সা। আর এ হিসাব বছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৮ টাকা ৫৩ পয়সা।

২০১৯-২০ হিসাব বছরে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। তার আগে ১৫ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল সামিট পাওয়ার। ফলে ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের মোট ৩৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচ্য সময়ে সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৫ টাকা ১৭ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৪ টাকা ৭৮ পয়সা। ৩০ জুন ২০২০ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ৫০ পয়সায়।

এর আগে ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে সামিট পাওয়ার। ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় সামিট পাওয়ার। তার আগে ২০১৭ হিসাব বছরের জন্য ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা। 

২০০৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ৬৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ২ হাজার কোটি ৯৪ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ারের ৬৩ দশমিক ১৮ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ১৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী ও বাকি ১৪ দশমিক ৫০ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত বৃহস্পতিবার সামিট পাওয়ার শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ৩৪ টাকা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন