মহাকাশ গবেষণা থেকে সরিয়ে দেয়া হলো কৃষিবিদ আব্দুস সামাদকে

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের (স্পারসো) চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সামাদকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে তাকে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে গত মঙ্গলবার এ তথ্য জানানো হয়। তবে স্পারসোর নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে কাউকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। 

একই প্রজ্ঞাপনে আরো দুজনকে বদলি করা হয়। বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ইউনিটের মহাপরিচালক নুরুন নাহার হেনাকে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক পদে বদলি করা হয়েছে। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক মো. হারুন অর রশিদকে সাধারণ বীমা করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। 

এর আগে গত ২৭ আগস্ট ‘জাতীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে আমলাদের প্রাধান্য’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে বণিক বার্তা। এতে বলা হয়, ‘দেশে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান (স্পারসো) প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮০ সালে। মহাকাশবিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান হলেও সংস্থাটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন একজন কৃষিবিদ। যদিও বিশ্বের অন্যান্য দেশে মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জ্যোতির্বিদরা।’ 

একজন কৃষিবিদ ও প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাকে এমন বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান করায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তার দক্ষতা ও যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকে। নানামুখী আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই আব্দুস সামাদকে সংসদ সচিবালয়ে বদলি করা হলো। 

অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুস সামাদ ২০২২ সালের ২৬ জুলাই স্পারসোর চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করেন। এর আগে তিনি বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। 

চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান-৩-এর সফল অবতরণের মাধ্যমে গত ২৩ আগস্ট ইতিহাস গড়ে ভারত। রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পর চতুর্থ দেশ হিসেবে এবং দক্ষিণ মেরুতে প্রথম দেশ হিসেবে মহাকাশযানের সফল অবতরণের মাধ্যমে ইতিহাসে স্থান করে নেয় দেশটি। ওই খবর সামনে আসার পর পরই আলোচনায় আসে স্পারসো। ভারতের সাফল্যের পেছনে সব অবদান দেশটির মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরোর। ওই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান এস সোমনাথ একজন অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার। আর বাংলাদেশে স্পারসোর চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ একজন কৃষি স্নাতক। বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের পঞ্চদশ ব্যাচের কর্মকর্তা। ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগদানের পর কেন্দ্রীয় ও মাঠ প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ডিগ্রি নিয়েছেন মানবসম্পদ উন্নয়ন, নীতিনির্ধারণী ধারণা, উন্নয়ন প্রশাসন ও পরিবেশ উন্নয়নের মতো বিষয়গুলোতে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন