স্যাটেলাইট প্রসেসিং হাব তৈরি করছে অ্যামাজন

বণিক বার্তা ডেস্ক

ফ্লোরিডার নাসা কেনেডি স্পেস সেন্টারে প্রসেসিং ফ্যাসিলিটি স্থাপন করছে অ্যামাজন। এটি স্থাপনে ১২ কোটি ডলার ব্যয় হবে। মূলত কয়েক হাজার কুইপার ইন্টারনেট স্যাটেলাইটের জন্য এটি তৈরি করা হচ্ছে। সম্প্রতি কোম্পানি ও প্রদেশ সরকার সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। খবর রয়টার্স।

কুইপার প্রজেক্টে ১ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগের অঙ্গীকার করেছে অ্যামাজন। যার খুবই ছোট একটি অংশ এক লাখ বর্গকিলোমিটারের এ প্রসেসিং হাব। কুইপার প্রজেক্টের মাধ্যমে পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে ৩ হাজার ১০০ লো আর্থ-অরবিটিং স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করবে, যা বৈশ্বিকভাবে সব জায়গায় ইন্টারনেট সংযোগ ছড়িয়ে দেবে। বর্তমানে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট সরবরাহে শীর্ষে রয়েছে ইলোন মাস্কের স্পেসএক্স। এর সঙ্গেই মূলত প্রতিযোগিতায় নামবে কুইপার ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক।

ফ্লোরিডার ফ্যাসিলিটিতে ৫০ জন কর্মী কাজ করবে এবং মহাশূন্যে যাত্রার আগে অ্যামাজনের কুইপার স্যাটেলাইটের সবশেষ অবস্থান হবে এ ফ্যাসিলিটি। এর আগে ওয়াশিংটনের রেডমন্ডে কুইপার প্রজেক্টের স্যাটেলাইট তৈরি করা হবে। ১০ তলা সমান জায়গা নিয়ে নির্মিত ফ্যাসিলিটিতে স্যাটেলাইটগুলোকে রকেট পেলোডে ফিট করা হবে।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সাইটটির নির্মাণকাজ শুরু করে অ্যামাজন। ২০২৪ সাল নাগাদ এটি সম্পন্নের কথা রয়েছে এবং ২০২৫ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে প্রথম ব্যাচের স্যাটেলাইট সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কোম্পানিটি। অ্যামাজনের কুইপার প্রডাকশন অপারেশনস বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট স্টিভ মেটায়ের এ কথা জানান।

প্রতিবেদন ও সূত্রের তথ্যানুযায়ী, ২০২৪ সালের শুরুতে অ্যামাজনের উৎপাদিত স্যাটেলাইট উন্মোচনের বিষয়ে আশাবাদী। যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রকদের শর্তানুযায়ী, ২০২৬ সালের মধ্যে নিম্ন কক্ষপথে অর্ধেক স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক চালু করতে হবে অ্যামাজনকে। যার প্রথম পদক্ষেপ এটি। কোম্পানিটি এখন পর্যন্ত ৭৭টি ভারী রকেট উৎক্ষেপণ চুক্তি বাগিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে। সামগ্রিকভাবে যার পরিমাণ কয়েক হাজার কোটি ডলারের কাছাকাছি। যেগুলোর অধিকাংশই বোয়িং-লকহিড ও ইউনাইটেড লঞ্চ অ্যালায়েন্সের যৌথ উদ্যোগ এবং জেফ বেজোসের স্পেস কোম্পানি ব্লু অরিজিনের।

চলতি বছরের শেষ নাগাদ মহাশূন্যে নিজেদের কিছু প্রটোটাইপ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে অ্যামাজন। এর ২০২৪ সালে সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে। এছাড়া আগামী বছর থেকে ব্যবসায়িক ও সরকারি গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে এর বিস্তারে কাজ শুরু হবে বলেও কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে।

ফ্লোরিডায় স্পেস বিজনেস বিস্তারে ও ব্যবসায়ীদের আকর্ষণে কাজ করছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা স্পেস ফ্লোরিডা। এর এক মুখপাত্র আনা ফারার জানান, পরিবহনসংক্রান্ত প্রকল্পের অংশ হিসেবে অ্যামাজন অনুদান পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু এখন পর্যন্ত সে রকম কোনো কিছুই পায়নি কোম্পানিটি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন