কুড়িগ্রামে দুধকুমারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে
পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে ব্রহ্মপুত্র,
ধরলা ও তিস্তার পানি সামান্য বৃদ্ধি পেলেও বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলে
ঢুকে পড়ছে বন্যার পানি। প্লাবিত হচ্ছে নতুন জেগে ওঠা কয়েকটি চরসহ নিচু এলাকার কাঁচা
সড়ক। তবে এখন পর্যন্ত পানিবন্দির সংখ্যা জানাতে পারেনি জেলা প্রশাসন।
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের
মুসার চরের বাসিন্দা মতিয়ার রহমান জানান, গত চারদিন ধরে নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। চরের
কিছু ঘর-বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে।
পানি আরো বৃদ্ধ পেলে সব চরাঞ্চলের ঘর-বাড়ি
প্লাবিত হয়ে পড়বে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাবলু মিয়া
জানান, পানি বৃদ্ধির ফলে আমার ইউনিয়নে সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী
প্রকৌশলী আব্দুল্রাহ আল মামুন জানায়, দুধকুমারের পানি বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার উপর
দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ব্রহ্মপুত্রের পানি নুনখাওয়া পয়েন্ট ৬৮ সেন্টিমিটার, চিলমারী
পয়েন্টে ৭২ সেন্টিমিটার, ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে ৫৫ সেন্টিমিটার, ও তিস্তার পানি কাউনিয়া
পয়েন্টে ৫৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এসব নদ-নদীর পানি আরো কিছুটা বৃদ্ধি পেতে
পারে বলে জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল
আরীফ জানান, জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হলে তা মোকাবেলায় প্রস্তুতি রয়েছে।