কোরবানির জন্য দেশী পশুর জোগান পর্যাপ্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

কোরবানিকে সামনে রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের খামারিরা ছবি: ফাইল/নিজস্ব আলোকচিত্রী

আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির জন্য প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ গবাদিপশু প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ। গতকাল রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার খামার পরিদর্শন শেষে সাদেক এগ্রো লিমিটেডের খামারে বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। 

ড. নাহিদ রশীদ বলেন, ‘কোরবানির জন্য আমাদের পর্যাপ্ত পশু রয়েছে। খামারিরা জানিয়েছেন, পশু নিয়ে রাজধানীর হাটে আসার ক্ষেত্রে তারা পথে-ঘাটে নানা ধরনের ভোগান্তির শিকার হন। এক্ষেত্রে অভিযোগ সেন্টার চালু করা যায় কিনা সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করব। আমাদের প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ পশু রয়েছে। আগামী ১৪ তারিখ আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে ফিগারটা নির্দিষ্টভাবে বলা যাবে।’ 

খামারিদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ঈদের আগে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা কোরবানির পশু বিক্রেতা বা খামারি পর্যায়ে কেউ যেন অযথা হয়রানি বা চাঁদাবাজির শিকার না হন, সেজন্য জাতীয় জরুরি সেবার হটলাইন নম্বর ৯৯৯ যুক্ত করার বিষয়ে আশ্বাস দেন সচিব। এর বাইরে অন্য কোনো হটলাইন নম্বর যুক্ত করার প্রয়োজন থাকলে সেটি ১৪ জুনের আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় চূড়ান্ত করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

পশুখাদ্যের দাম কমানোর বিষয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদার বলেন, ‘এরই মধ্যে পশুখাদ্যের দাম কিছুটা কমাতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এখন কিন্তু দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রচুর ঘাস উৎপাদন হচ্ছে। ফলে দাম অনেকটা কমাতে সক্ষম হয়েছি। দুই-তিন মাস পর থেকে খাদ্যদ্রব্যের দাম আরো কমিয়ে আনতে সক্ষম হব বলে আশা করছি।’

খামার থেকে কেনা পশুর ক্ষেত্রে হাসিলমুক্ত সুবিধা দেয়ার বিষয়টি মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারির অনুরোধ জানান বিডিএফএ সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন। এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন সচিব। পরবর্তী সভায় বিষয়টি আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ঈদুল আজহায় সারা দেশে মোট কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ২১ লাখ। এর মধ্যে প্রায় এক কোটি গবাদিপশু কোরবানি হয়েছিল। নির্বাচনী বছর হওয়ায় চলতি বছর কোরবানির পশুর সংখ্যা চার-পাঁচ লাখ বাড়তে পারে। সে হিসেবে এবার ১ কোটি ৫ লাখ পশুর চাহিদা হতে পারে। তবে এর চেয়েও প্রায় ২০ লাখ পশু উদ্বৃত্ত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রাণিসম্পদ খাতসংশ্লিষ্টরা। 

বিডিএফএ সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন বলেন, ‘চলতি বছর যেহেতু জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তাই হয়তো আগের চেয়ে পাঁচ লাখ কোরবানির পশু বাড়তে পারে। সেটা হলেও আমাদের এ বছর উদ্বৃত্ত থাকবে। তবে পশু রাজধানীতে আনার ক্ষেত্রে যাতে খামারি ও ব্যবসায়ীরা ভোগান্তির শিকান না হন, সেজন্য আমরা প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কাছে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছি।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন