প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিবাদ

গত ২২ মে বণিক বার্তার শেষ পাতায় ‘নিয়ম মানছে না আশিয়ান মেডিকেল কলেজ: ফাঁকা হাসপাতালে দেখানো হয় সাজানো রোগী’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে আশিয়ান মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ। প্রতিবাদে দাবি করা হয়, প্রতিবেদনটি মনগড়া, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রণীত আইন ও বিধিমালা মেনেই আশিয়ান মেডিকেল কলেজ পরিচালিত হয়ে আসছে। প্রতিবেদনে আশিয়ান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ, তাদের বেতন-ভাতা প্রদান, শিক্ষার্থীর সংখ্যা, হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা, বিশেষায়িত সেবা, শয্যা সংখ্যা ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যানকে জড়িয়ে চরম মিথ্যাচার ও সম্পূর্ণ অসত্য তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে প্রতিষ্ঠানের কোনো দায়িত্বশীল কর্মকর্তার মতামত নেয়া হয়নি। 

মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ বলছে, মেডিসিন, সার্জারি, গাইনি, কার্ডিওলজি, অর্থপেডিক, নেফ্রোলজি, ইউরোলজি, ইএনটি, চক্ষু, চর্ম ও যৌনসহ আরো কয়েকটি বিভাগে চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রয়েছে। হাসপাতালে রোগী ভর্তির হার ৩০-৩৫ শতাংশ। হাসপাতালটির অবস্থান কিছুটা প্রত্যন্ত অঞ্চলে হওয়ায় রোগী সংখ্যা কিছুটা কম। তবে গত বছরের তুলনায় বর্তমানে রোগী বেড়েছে। 

প্রতিবাদলিপিতে আরো বলা হয়, ২০২১ সালের জুলাইয়ের পুরনো তথ্য প্রতিবেদনে সন্নিবেশিত করা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে কলেজকে ২৫ হাজার বর্গফুট জায়গা বৃদ্ধির পরামর্শ দেয়া হয়েছিল, সেখানে ১ লাখ ১১ হাজার বর্গফুট নিয়ে একাডেমিক ভবন নির্মাণাধীন। প্রকাশিত প্রতিবেদনে হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা নিয়েও ভুল ও মিথ্যা তথ্য দেয়া হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে হাসপাতালের ৪০০ শয্যার অনুমোদন রয়েছে এবং সে অনুসারেই পরিচালিত হচ্ছে। হাসপাতালের অনুমোদন চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত হালনাগাদ করা আছে। শিক্ষক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা নিয়মিত প্রদান করা হয়। ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও ব্যাংক ফরওয়ার্ডিং গত ৬ এপ্রিল স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরকে অবহিত করা হয়েছে। বিএমডিসিকেও এর কপি দেয়া হয়েছে। 

এতে আরো বলা হয়, শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত রয়েছে। ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের অনুমোদনের জন্য গত এপ্রিলে কলেজ ও হাসপাতাল পরিদর্শন করে অগ্রগতির জন্য সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিদর্শন দল। বিধি মোতাবেক অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক, রেজিস্ট্রার, সহকারী রেজিস্ট্রারসহ অন্যান্য পদে কলেজের অ্যাডহক শিক্ষক নিয়োগ কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হয়েছে, যা পরে কলেজের পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন নেয়া হয়েছে। অধ্যক্ষ ও অন্যান্য শিক্ষক নিয়োগ ও নিয়মিতকরণ নিয়ম অনুযায়ী করা হয়েছে। 

প্রতিবেদকের বক্তব্য: প্রতিবেদনে অসত্য, মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্য দেয়া হয়নি। আশিয়ান মেডিকেল কলেজের অনিয়ম, কলেজের একাডেমিক কার্যক্রমের ঘাটতি, হাসপাতালে ভর্তির হার, সাজানো রোগী এবং অন্যান্য অনিয়মের তথ্য স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পরিদর্শন প্রতিবেদনের তথ্যের আলোকে বণিক বার্তায় প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। সরেজমিনেও তার সত্যতা পাওয়া যায়। প্রকাশিত প্রতিবেদন তৈরিতে ওই হাসপাতালের সাবেক চিকিৎসক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনের বক্তব্যের জন্য কলেজের অধ্যক্ষ ও পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে, যা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে প্রতিবেদকের নিজস্ব কোনো বক্তব্য নেই।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন