জুলাই-মার্চ

বিক্রি বাড়লেও রেনাটার নিট মুনাফায় বড় পতন

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রেনাটা লিমিটেডের চলতি ২০২২-২৩ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) আগের হিসাব বছরের একই সময়ে বিক্রি বেড়েছে শতাংশের বেশি। তবে বিক্রি বাড়া সত্ত্বেও সময়ে বিভিন্ন ব্যয়বৃদ্ধির চাপে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা কমেছে প্রায় ৩৫ শতাংশ। ওষুধ খাতের কোম্পানিটির সর্বশেষ তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে রেনাটা লিমিটেডের সমন্বিত মোট বিক্রি হয়েছে হাজার ৪৩৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল হাজার ২৯১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির সমন্বিত বিক্রি বেড়েছে ১৪৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা বা দশমিক ৪৪ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির সমন্বিত কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ২৬৭ কোটি ৭১ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪১১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির সমন্বিত নিট মুনাফা কমেছে ১৪৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকা বা ৩৪ দশমিক ৯২ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৩ টাকা ৩৪ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩৫ টাকা ৮৭ পয়সা। গত ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২৬৬ টাকা ৮০ পয়সায়।

এদিকে চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির সমন্বিত মোট বিক্রি হয়েছে ৮৪৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৭৫৭ কোটি লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির সমন্বিত কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৫৮ কোটি লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৩৬ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। সর্বশেষ তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে টাকা পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১১ টাকা ৯২ পয়সা।

জানতে চাইলে রেনাটা লিমিটেডের কোম্পানি সচিব মো. জুবায়ের আলম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বেশকিছু কারণে বিক্রি বাড়া সত্ত্বেও মুনাফা কমে গেছে। এর মধ্যে রয়েছে মূল্যস্ফীতি জাহাজীকরণের ব্যয় বাড়ার কারণে কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়া, বিদ্যুৎ ব্যবহার দাম বেড়ে যাওয়া, বিক্রয় বিপণনে জোর দেয়া, এফডিআরের বিপরীতে রিটার্ন কমে যাওয়া, ঋণের ব্যয়বৃদ্ধি এবং আমদানির ক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়জনিত লোকসান বেড়ে যাওয়া। সার্বিকভাবে বিষয়গুলো কোম্পানির মুনাফা কমে যাওয়ার পেছনে ভূমিকা রেখেছে।

সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১৪৭ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে রেনাটা লিমিটেড। এর মধ্যে ১৪০ শতাংশ নগদ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী সমন্বিত নিট মুনাফা হয়েছে ৫১১ কোটি ১০ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫০৬ কোটি ২০ লাখ টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী সমন্বিত নিট মুনাফা বেড়েছে দশমিক ৯৭ শতাংশ। আলোচ্য হিসাব বছরে রেনাটার সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৪৭ টাকা ৬৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪৭ টাকা ২২ পয়সা। গত বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়ায় ২৭৪ টাকা ৩৯ পয়সায়।

৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০-২১ হিসাব বছরের জন্য বিনিয়োগকারীদের ১৫৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল রেনাটা। এর মধ্যে ১৪৫ শতাংশ নগদ ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৪৭ টাকা ২২ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৪১ টাকা ১৭ পয়সা।

২০১৯-২০ হিসাব বছরে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ১৩০ শতাংশ নগদ ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল। ২০১৮-১৯ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ১০০ শতাংশ নগদের পাশাপাশি ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে রেনাটা। এছাড়া ২০১৭-১৮ হিসাব বছরে ৯৫ শতাংশ নগদ ১৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন