উন্নয়নের সঙ্গে বেড়েছে অসমতা: ড. আতিউর রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি: বণিক বার্তা

নানা সীমাবদ্ধতার পরও গ্রামীণ উন্নয়ন হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান। তিনি বলেন, গত এক দশকে বাংলাদেশের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। তেমনই একটি হলো কানেক্টিভিটি। এ ক্ষেত্রে পদ্মা সেতু একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। কেননা এ সেতুর মাধ্যমে শুধু বাংলাদেশের এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলই নয়, দুই থেকে তিন ঘন্টার মধ্যে সহজেই যাওয়া যাবে কলকাতায়। তবে উন্নয়নের পাশপাশি বেড়েছে অসমতাও।

আজ বুধবার ড. আব্দুল গফুরের স্মরণে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) কর্তৃক আয়োজিত ‘ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ: পূর্ববঙ্গে মধ্যবিত্তের বিকাশ’ শীর্ষক বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতিবিদ ড. রেহমান সোবহান, বিআইডিএসের পরিচালক ড. বিণায়ক সেন।

স্বাধীনতাপূর্ব মধ্যবিত্তের বিকাশের ইতিহাস তুলে ধরেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এ গভর্নর। তিনি বলেন, অ্যাডাম স্মিথের  ‘ওয়েলথ অব নেশসন’ বইতে আঠারো শতকে সম্পদের প্রাচুর্যপূর্ণ বঙ্গের কথা বলা আছে। স্মিথের মতে, তখন লন্ডন ছিল সম্পদের দিক থেকে পিছিয়ে থাকা একটি রাষ্ট্র। বঙ্গ থেকে প্রথম সম্পদ লুট শুরু করে ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি। এতে করে রুদ্ধ হয়ে যায় বাংলাদেশে মধ্যবিত্তের বিকাশ। পাকিস্তান আমলেও মুক্তি মেলে  না পূর্ব বাংলার জনগণের। যে ক্ষোভের প্রথম বহিঃপ্রকাশ ঘটে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে। তা ক্রমেই গড়ায় মুক্তিযুদ্ধে। ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত নেতৃত্ব দিয়েছে বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণি। সেসময় এ মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

সাম্প্রতিক বছরগুলোয় মধ্যবিত্তের অবস্থা প্রসঙ্গে ড. আতিউর রহমান আরো বলেন, বর্তমানে আমাদের মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিশ্বায়ন ঘটেছে। এরইসঙ্গে দেশের আগামী দিনের সংকট সমাধান নির্ভর করবে মধ্যবিত্ত শ্রেণির সক্ষমতার ওপর।

উল্লেখ্য যে ড. আব্দুল গফুর ছিলেন একজন ‘পাবলিক ইন্টেলেকচুয়াল’। ষাটের দশকে রাজনৈতিক বাস্তবতার বিষয়ে প্রচণ্ড সচেতন এ ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রবাসে বাংলাদেশের পক্ষে জনমত গড়ে তুলতে সংগঠক হিসেবে ভূমিকা রেখেছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন