ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চিটাগং

বন্দর নগরীর প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়

আলোকোজ্জ্বল কীর্তিময় জীবনের অধিকারী চিকিৎসা শিক্ষা গবেষণার অন্যতম পথিকৃৎ জাতীয় অধ্যাপক ডা. নুরুল ইসলাম একজন ধীমান প্রথিতযশা নিবেদিতপ্রাণ চিকিৎসক, শিক্ষাবিদ চৌকস গবেষক। কৃতিত্বের সমগ্রতায় চিকিৎসা জগতের কিংবদন্তি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন গুণী শিক্ষাগুরু। দৃঢ়প্রত্যয়ের উদ্ভাসে নির্মাণ করেছেন তার নিজস্ব জগৎ। উচ্চশিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে চট্টগ্রামে প্রথম বেসরকারি বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (ইউএসটিসি) স্থাপন করেছেন, যা এক অনন্য বিদ্যাপীঠ হিসেবে জাতীয় আন্তর্জাতিক পরিচিতি এবং স্বীকৃতি লাভ করেছে। ইউএসটিসি প্রতিষ্ঠা তার কর্মযজ্ঞের অন্যতম সৃষ্টিশীলতা হিসেবে কালের সাক্ষী হয়ে আলো ছড়াচ্ছে চারপাশ বিশ্বব্যাপী। সুদীর্ঘ ৩১ বছরের পথপরিক্রমায় জাতির মেধা, মনন মানবসম্পদ উন্নয়নে প্রতিষ্ঠানটি নিরন্তর ভূমিকা রেখে চলেছে। জাতির শিক্ষা, চিকিৎসাসেবা, আর্থসামাজিক সাংস্কৃতিক বিকাশের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থেকে প্রতিষ্ঠানটি নিজেই হয়ে উঠেছে আমাদের জাতীয় ইতিহাসের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। দেশের অনেক মনীষী, শিক্ষক যেমন প্রতিষ্ঠানটি আলোকিত করেছেন, তেমনি এখানকার শিক্ষার্থীদের অনেকেই জাতীয় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রেখেছেন কৃতীর স্বাক্ষর। উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মেধাবী শিক্ষক শিক্ষার্থীর সমাহারে এটি দেশের উচ্চশিক্ষা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের গৌরবময় ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছে এবং নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও ইউএসটিসি তার গৌরবের উত্তরাধিকার বহন করে চলেছে।

১৯৮৯ সালে মাত্র ৪২ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে ইনস্টিটিউট অব অ্যাপ্লাইড হেলথ সায়েন্সেস (আইএএইচএস) শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছিল, যা ইউএসটিসির চিকিৎসা অনুষদের অধীনে ২০১৬-১৭ সেশন পর্যন্ত পরিচালিত হয়েছে। আইএএইচএস ২০১৭-১৮ সেশন থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি নিয়ে এর প্রবহমান ধারাকে অব্যাহত রেখেছে এবং চিকিৎসা শিক্ষার ক্ষেত্রে সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখার প্রত্যয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ায় স্বনামধন্য মেডিকেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে আইএএইচএসে দেশী-বিদেশী অসংখ্য ছাত্র ছাত্রী অধ্যয়ন করছে। আইএএইচএসে বাংলাদেশী ছাত্র ছাত্রী ছাড়াও ভারত, নেপাল, পাকিস্তান, ভুটান, শ্রীলংকা, মালদ্বীপ, যুক্তরাষ্ট্র, নরওয়ে, ফিলিস্তিন, জর্ডান, সুদান, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ছাত্র-ছাত্রী অধ্যয়ন করেছে এবং অদ্যাবধি অধ্যয়নরত আছে।

চট্টগ্রামের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউএসটিসিতে দেশ-বিদেশের ছাত্র-ছাত্রীরা চমৎকার পরিবেশে দক্ষ শিক্ষকমণ্ডলীর নিপুণতায় উঁচুমানের যুগোপযোগী শিক্ষা লাভ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাসে দৃষ্টিনন্দন ভবনগুলোয় হাসপাতাল, অডিটোরিয়াম, ছাত্র-ছাত্রীদের আবাসিক অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা সংবলিত ব্যবস্থা বিদ্যমান। ইউএসটিসির ভৌত অবকাঠামো অত্যন্ত উঁচুমানের। উপাচার্য থেকে শুরু করে সব শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যবহার, সবকিছু মিলিয়ে শিক্ষার অসাধারণ পরিবেশ রয়েছে। শিক্ষকরা মানসম্মত লেখাপড়ার স্বার্থে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একটি সুন্দর সম্পর্ক বজায় রেখেছেন যা কিনা উন্নত শিক্ষা পরিবেশ নিশ্চিতকরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। মেডিকেল ফ্যাকাল্টির পাশাপাশি প্রযুক্তিগত উত্কর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগ, প্রকৌশল, ব্যবসায় প্রশাসন, বায়োকেমিস্ট্রি বায়োটেকনোলজি, ইংরেজি বিভাগের অগ্রযাত্রা অব্যাহত আছে ইউএসটিসির যে কয়েকটি ভিশন আছে তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো অ্যাকটিভ লার্নিং অ্যান্ড টিচিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কার্যকর শিক্ষাব্যবস্থা প্রদান করে উদ্ভাবন প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত এবং দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করা। তেমনিভাবে ব্যবসায় প্রশাসন, ইংরেজি বা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থীরাও হাতেকলমে শিক্ষা লাভ করে সময়োপযোগী দক্ষ জনশক্তি তৈরি হচ্ছেন।

ইউএসটিসিতে রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের কম্পিউটার ল্যাব, ভিএলএসআই ল্যাব, রোবোটিকস ল্যাব অন্যান্য প্রয়োজনীয় ল্যাবরেটরি, যেখান থেকে ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা জ্ঞান আহরণ করতে পারে। ইউএসটিসির আরেকটি স্বাতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্য গবেষণা সেল, যা ইউআরসি নামে সুপরিচিত। গবেষণা কেন্দ্রের গবেষকরা প্রধানত গবেষণা এবং গবেষণালব্ধ ফল শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করেন। শিক্ষার্থীরা সরাসরি গবেষণায় সম্পৃক্ত থেকে শিক্ষকদের সঙ্গে যৌথভাবে গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য শিক্ষার্থীদের ডা নুরুল ইসলাম গোল্ড মেডেল অ্যাওয়ার্ডসহ আর্থিক সম্মাননা আনোয়ারা ইসলাম সিলভার মেডেল অ্যাওয়ার্ডসহ আর্থিক সম্মাননা দেয়া হয়। দেশ-বিদেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ইউএসটিসির সমঝোতা চুক্তি রয়েছে।

একটি আদর্শ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাফল্যের মাপকাঠি হিসেবে উন্নতমানের শিক্ষার প্রয়োজন ভৌত অবকাঠামো, শিক্ষকের মান, শিক্ষার্থীর মান এবং শিক্ষা গবেষণার পরিবেশ। ভবনের ভেতরে শ্রেণীকক্ষ, লাইব্রেরি, বিভিন্ন ধরনের ল্যাব, গবেষণাগার, খেলাধুলা করার পর্যাপ্ত উপকরণ স্থান, প্রশাসনিক কার্যক্রম চালানোর মতো প্রয়োজনীয় কক্ষ ইত্যাদি হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ ভৌত অবকাঠামোর উদাহরণ। ইউএসটিসির রয়েছে স্থায়ী ক্যাম্পাস এবং বিদ্যমান বহুতল ভবনে নিবিড় শিক্ষা কার্যক্রম চলছে।

 

দিলীপ কুমার বড়ুয়া

রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ইউএসটিসি

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন