বন্ডের সাবস্ক্রিপশনে আরো সময় চায় এবি ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এবি ব্যাংক লিমিটেডের পারপেচুয়াল বন্ডের সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য নির্ধারিত ৬০ কোটি টাকার বিপরীতে সাবস্ক্রিপশন এরই মধ্যে তিন দফায় প্রায় এক বছর অতিবাহিত হয়েছে। সর্বশেষ দফার সময় সদ্যসমাপ্ত বছরের ৩০ ডিসেম্বর শেষ হলেও এর বিপরীতে এখনো কাঙ্ক্ষিত আবেদন জমা পড়েনি। তাই চতুর্থবারের মতো বন্ডের সাবস্ক্রিপশনে সময় বাড়ানোর জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে আবেদন করেছে ব্যাংকটি।

বিষয়ে এবি ব্যাংকের পারপেচুয়াল বন্ডের ইস্যু ব্যবস্থাপক রিভারস্টোন ক্যাপিটালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আশরাফ আহমেদ বণিক বার্তাকে জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বন্ডটির প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ হয়েছে। কিন্তু পাবলিক সাবস্ক্রিপশনের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। কারণে ব্যাংকের পক্ষ থেকে বিএসইসির কাছে সাবস্ক্রিপশনের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবারো আবেদন করা হয়েছে। কমিশনের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।

২০২১ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছ থেকে ৬০০ কোটি টাকার পারপেচুয়াল বা মেয়াদবিহীন বন্ড ইস্যুর অনুমোদন পায় এবি ব্যাংক লিমিটেড। আর গত বছরের জানুয়ারি থেকে বন্ডে বিনিয়োগের জন্য সাবস্ক্রিপশন শুরু হয়। তবে পর্যন্ত তিন দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে বন্ডের ক্রেতা খুঁজে পাচ্ছে না ব্যাংকটি। দুর্বল আর্থিক ভিত্তির কারণে ব্যাংকটির বন্ড কেনার জন্য কেউ আগ্রহী হচ্ছে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিএসইসির ৮০০তম কমিশন সভায় বন্ডটি অনুমোদন পাওয়ার পর গত বছরের ৩০ জানুয়ারি থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এর সাবস্ক্রিপশনের মেয়াদ নির্ধারিত ছিল। তবে সময়ে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় সাবস্ক্রিপশন না হওয়ার কারণে পরবর্তী সময়ে বছরের ২২ মে পর্যন্ত এর মেয়াদ বাড়ানো হয়। সময়ের মধ্যেও সাবস্ক্রিপশন না হওয়ায় এর মেয়াদ আরো তিন মাস বাড়িয়ে ২২ আগস্ট করা হয়। সময়েও বন্ডটি কেনার জন্য কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা খুঁজে পায়নি এবি ব্যাংক। পরে ব্যাংকটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তৃতীয় দফায় বছরের ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ডটির সাবস্ক্রিপশনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। কিন্তু সময়ের মধ্যেও কাঙ্ক্ষিত সাবস্ক্রিপশন না হওয়ায় চতুর্থবারের মতো এর সময় বাড়ানোর জন্য বিএসইসির কাছে আবেদন জানিয়েছে ব্যাংকটি।

বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বণিক বার্তাকে বলেন, বন্ডের সাবস্ক্রিপশনের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে। বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।

এবি ব্যাংকের ৬০০ কোটি টাকার পারপেচুয়াল বন্ডের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি হস্তান্তরযোগ্য, আনসিকিউরড, নন-কিউমুলেটিভ, কন্টিনজেন্ট কনভার্টিবল। বন্ডটির ৬০০ কোটি টাকার মধ্যে ৫৪০ কোটি টাকা প্রাইভেট প্লেসমেন্ট বাকি ৬০ কোটি টাকা পাবলিক অফারের মাধ্যমে ইস্যু করার কথা রয়েছে। বন্ডটির ইউনিটপ্রতি অভিহিত মূল্য হাজার টাকা। বন্ডের কুপন হার শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ, যা আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মিউচুয়াল ফান্ড, ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, তালিকাভুক্ত ব্যাংক, আঞ্চলিক রুরাল ব্যাংক, ট্রাস্ট, সংগঠন, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য যোগ্য সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অনুকূলে ইস্যু করা হচ্ছে। বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে এবি ব্যাংক এডিশনাল টায়ার-ওয়ান মূলধনের ভিত্তি শক্তিশালী করবে। প্রাইভেট প্লেসমেন্ট পাবলিক অফার উভয় ক্ষেত্রে বন্ডের ন্যূনতম সাবস্ক্রিপশন হাজার টাকা। এরই মধ্যে বন্ডটির প্রাইভেট প্লেসমেন্টের ৫৪০ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন