![](https://bonikbarta.net/uploads/news_image/news_322862_1.jpg?t=1722064850)
লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফাইন্যান্স ফ্রেমওয়ার্ক (এলডিএফএফ) ঘোষণা কপ২৭-এর একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন। এটি নিয়ে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পক্ষে আত্মতৃপ্ত হওয়ার সুযোগ নেই, যতক্ষণ না এটিকে একটি দরিদ্রবান্ধব এবং ন্যায্যতাভিত্তিক ব্যবস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা না যায়। আগামী বছর জলবায়ু আলোচনায় এলডিএফএফ তৈরির ক্ষেত্রে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পক্ষে জোরালো নেতৃত্ব প্রদানে বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। জলবায়ু সম্মেলনে স্বল্পোন্নত ও অতি বিপদাপন্ন দেশগুলোর স্বার্থ আদায়ে বাংলাদেশ তার অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্ব দিয়ে এ জোরালো ভূমিকা রাখতে পারে।
‘কপ২৭ জলবায়ু সম্মেলনের ফলাফল এবং বাংলাদেশের করণীয়’ এবং ‘ক্ষয়ক্ষতি অর্থায়নের পরবর্তী আলোচনায় বাংলাদেশকে অবশ্যই নেতৃত্বে থাকতে হবে’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বক্তারা। অ্যাওসেড, কানসা-বিডি, কোস্টাল ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ (সিপিডি), কোস্ট ফাউন্ডেশন, সেন্টার ফর পার্টিসেপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিআরডি), সেন্টার ফর সাসটেইনেবল রুরাল লাইভলিহুড (সিএসআরএল), ইকুইটিবিডি ও লিডারস যৌথভাবে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে। কোস্ট ফাউন্ডেশনের রেজাউল করিম চৌধুরীর সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সিএসআরএলের জিয়াউল হক মুক্তা, সিপিআরডির মো. শামসুদ্দোহা এবং কানসা-বিডির রাবেয়া বেগম। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইকুইটিবিডির আমিনুল হক।
আমিনুল হক সম্মেলনের চূড়ান্ত ঘোষণাপত্রে স্বল্পোন্নত দেশ ও দ্বীপদেশগুলোর কথা উল্লেখ না করায় ধনী দেশগুলো এবং কপ সভাপতির সমালোচনা করেন, কারণ ক্ষয়ক্ষতি অর্থায়নের বিষয়ে এ দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে। তিনি কয়েকটি সুনির্দিষ্ট দাবি তুলে ধরেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য—কার্যকর এলডিএফএফ প্রতিষ্ঠিত করতে আসন্ন সম্মেলনে ও আলোচনায় স্বল্পোন্নত দেশগুলোর অবস্থান নির্ধারণে ও তা আদায়ে বাংলাদেশকে নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করতে হবে, এলডিএফএফের কাঠামো প্রণয়নের ক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ধনী দেশগুলোর ঐতিহাসিকভাবে দায়ের ব্যাপারটি বিবেচনা করতে হবে।
শামসুদ্দোহা উল্লেখ করেন, ক্ষয়ক্ষতি বিষয়ক অর্থায়নের ঘোষণাটি কিছুটা জটিল এবং এর সঙ্গে জলবায়ু প্রশমনের শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছে। সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্তে বিশ্বব্যাপী গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখার ওপর জোর দেয়া হয়েছে। যার অর্থ হলো এলডিএফএফের আওতায় সহায়তা পেতে হলে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে ভবিষ্যতে তাদের নির্গমন হ্রাস লক্ষ্যমাত্রা বাড়াতে হবে। এটি খুবই বিতর্কিত এবং বিপদাপন্নতার সংজ্ঞা নির্ধারণ করা, এলডিএফএফে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য অগ্রাধিকার দেয়া নিয়ে উন্নয়নশীল এবং স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক মতপার্থক্য দেখা দিতে পারে।