দ্বিতীয়ার্ধে ৫.৮০% রিটার্ন দেবে বেক্সিমকো গ্রিন-সুকুক

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিবিধ খাতের কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেডের গ্রিন-সুকুক আল ইসতিসনার ট্রাস্টি ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) বিনিয়োগকারীদের জন্য দ্বিতীয় অর্ধবার্ষিকেও দশমিক ৮০ শতাংশ হারে রিটার্নের সুপারিশ করেছে। এজন্য যোগ্য সুকুকধারী নির্ধারণে রেকর্ড ডেট ধরা হয়েছে চলতি বছরের ২২ ডিসেম্বর। ট্রাস্টি কমিটির সর্বশেষ সভায় প্রথম বছরের দ্বিতীয় অর্ধবার্ষিকের জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এরই মধ্যে প্রথম অর্ধবার্ষিকের জন্যও সুকুকধারীদের দশমিক ৮০ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে করপোরেট বন্ডটির ট্রাস্টি। সুকুকটির অভিহিত মূল্য ১০০ টাকার ওপর রিটার্ন নির্ধারণ করা হয়। টাকার অংকে প্রথম অর্ধবার্ষিকে মোট বিতরণকৃত রিটার্নের পরিমাণ ছিল ১৭৪ কোটি টাকা।

পাঁচ বছর মেয়াদি সুকুকটির রিটার্ন ছয় মাস অন্তর প্রদান করা হবে। এক্ষেত্রে রিটার্ন নির্ধারণ করা হবে শতাংশ ভিত্তিমূল্যের সঙ্গে মার্জিন যোগ করে। বেক্সিমকো লিমিটেডের আগের বছরের বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) ঘোষিত লভ্যাংশ ভিত্তিমূল্যের ব্যবধানের ১০ শতাংশ মার্জিন হিসাবে নির্ধারণ করা হবে। যদি লভ্যাংশের হার ভিত্তিমূল্যের সমান বা কম হয় তাহলে সেক্ষেত্রে ভিত্তিমূল্যের হিসাবে রিটার্ন প্রদান করা হবে। আর লভ্যাংশ শতাংশের বেশি হলে তার ১০ শতাংশ সুকুকের মুনাফার সঙ্গে যুক্ত হবে।

নিয়ম অনুসারে, বেক্সিমকো লিমিটেড সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাব বছরে ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে। এক্ষেত্রে ভিত্তিমূল্য শতাংশ বাদ দেয়া হলে থাকে ২১ শতাংশ। ২১ শতাংশের ১০ শতাংশ দাঁড়ায় দশমিক ১০। অন্যদিকে প্রথম বছরের প্রথম দ্বিতীয়ার্ধে সুকুকধারীদের জন্য মোট সুপারিশকৃত রিটার্নের হার নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬০ শতাংশ। এর সঙ্গে দশমিক ১০ শতাংশ যোগ করা হলে দাঁড়ায় ১৩ দশমিক শতাংশ। এটা হলো সুকুকধারীদের এক বছরের সর্বমোট রিটার্ন।

সুকুকে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের শতভাগ বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ারে রূপান্তরের সুযোগ থাকছে। এক্ষেত্রে প্রতি বছর সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ হারে সুকুক শেয়ারে রূপান্তর করা যাবে। গুণিতক হারে অর্থাৎ , ১০, ১৫ ২০ শতাংশ রূপান্তরের সুযোগ থাকছে। বছরের সুকুক শেয়ারে রূপান্তর-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট এরই মধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে। রেকর্ড ডেট চলতি বছরের ২২ ডিসেম্বর। কোনো বছর সুকুক শেয়ারে রূপান্তরের সুযোগ গ্রহণ না করলে সেটি পরবর্তী বছরেও করা যাবে। রূপান্তরের মূল্য নির্ধারিত হবে রেকর্ড তারিখের আগের ২০ কার্যদিবসে ডিএসইতে বেক্সিমকোর শেয়ারের ভারিত গড় মূল্যের ৭৫ শতাংশ। যদি কোনো বিনিয়োগকারী সুকুককে শেয়ারে রূপান্তর করতে না চান, তাহলে পাঁচ বছরে ওই সুকুকের অবসায়ন হবে।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৭৯তম কমিশন সভায় বেক্সিমকো লিমিটেডের সুকুকটি অনুমোদন করা হয়। গত বছরের এপ্রিলে বেক্সিমকো লিমিটেডের হাজার কোটি টাকার সুকুক ইস্যুর পরিকল্পনায় অনুমোদন দেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা। বেক্সিমকো গ্রিন-সুকুক আল ইসতিসনা শরিয়াহভিত্তিক বন্ডটির মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ বেক্সিমকো লিমিটেডের সাবসিডিয়ারি তিস্তা সোলার লিমিটেড করতোয়া সোলার লিমিটেডের নির্মাণকাজে ব্যয় করা হবে। এছাড়া বেক্সিমকোর বস্ত্র খাতের ব্যবসা সম্প্রসারণে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেনা এবং পরিবেশ উন্নয়ন সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে অর্থ ব্যবহার করা হবে। বেক্সিমকো গ্রিন-সুকুক ট্রাস্ট নামে স্পেশাল পারপাস ভেহিকলের মাধ্যমে সুকুক ইস্যু করা হয়।

ডিএসইতে বৃহস্পতিবার বেক্সিমকো গ্রিন-সুকুকের প্রতি ইউনিটের সর্বশেষ সমাপনী দর ছিল ৮৮ টাকা ৫০ পয়সা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন