শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষকের কাছ থেকে প্রত্যাশা করব কিন্তু শিক্ষকের প্রত্যাশা পূরণ করব না তা হয় না। শিক্ষকের প্রত্যাশা পূরণে আমরা আন্তরিক। আমাদের যে সীমাবদ্ধতা আছে সেগুলো কাটিয়ে উঠতে হবে। শিক্ষকের আর্থিক, সামাজিক নিরাপত্তা ও সম্মানের ব্যবস্থা করতে হবে। আমার শিক্ষকের মনে যদি প্রশান্তি থাকে, আমার শিক্ষকের মনে যদি উৎসাহ থাকে তাহলে শিক্ষার পরিবেশ সত্যিই যথার্থ হয়ে উঠবে। গতকাল রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে শিক্ষক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সারা জীবনের জন্য যিনি আমাদের গঠন করে দেন তিনি আমাদের শিক্ষক। আমাদের মানুষ হতে শেখান, দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে দেন, আমাদের পুরো মনটাকে তৈরি করে দেন, আমাদের মধ্যে স্বপ্ন জাগিয়ে দেন এবং সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে নিয়ে যান। আমাদের পুরো জীবনটাতে তাদের অনন্য সাধারণ ভূমিকা রয়েছে। শিক্ষকের সততা, নিষ্ঠা, আন্তরিকতা, সহমর্মিতা এগুলো ভীষণ জরুরি। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে আপদগুলো দূর করার চেষ্টা করেছি। তার মধ্যে একটি প্রশ্ন ফাঁস—সেটা বন্ধ হয়েছে। কিন্তু তার পরও দুই-একটি জায়গায় চেষ্টা হয়।
ডা. দীপু মনি আরো বলেন, যদি শিক্ষকতা পেশার সঙ্গে জড়িতও থাকেন কিন্তু তারা সমগ্র শিক্ষক সমাজের প্রতিনিধিত্ব করেন না। কিন্তু সমগ্র শিক্ষক সমাজের মধ্যে একজন, দুজন বা তিনজনও যদি অনৈতিক কিছু করেন তার দায় কিন্তু সবাইকে নিতে হয়। সেজন্য আমাদের সবাইকে খুব সচেতন থাকতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার সময় আমরা চাই একদম নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা হবে। কোথাও যদি শিক্ষক মনে করেন যে আমার ছাত্র, আমার প্রতিষ্ঠানকে আরো বেশি ভালো ফলাফল করতে হবে, তাহলে সেটি শিক্ষকের মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করে।
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী যেভাবে শিক্ষায় বিনিয়োগ করছেন, তার সুফল আমরা অবশ্যই পাব।