পাম তেলের দাম ১৩৩ টাকা ও প্যাকেটজাত চিনি প্রতি কেজি ৮৯, আর খোলা চিনি ৮৪ টাকা নির্ধারণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন দিলেও তা মানছেন না বিক্রেতারা। বাজারে নতুন পণ্য আসেনি, এমন অজুহাতে প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনি ৯৫ টাকা এবং খোলা চিনি ৮৭ থেকে ৯০ টাকা বিক্রি করছেন খুচরা বিক্রেতারা। পাম তেল প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৩৮ টাকা। এছাড়া ডিম, মাছ-মাংস, চাল ও সবজির অধিক মূল্যের কারণে বাজারে অস্বস্তিতে ভোক্তারা।
গতকাল রাজধানীর বাসাবো, শান্তিনগর, কারওয়ান বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, সরকারের নির্ধারিত দামে কোথাও পাম তেল বা চিনি বিক্রি হচ্ছে না। প্যাকেটজাত চিনি প্রতি কেজি ৬ টাকা, খোলা চিনি ৩ থেকে ৬ ও পাম তেল ২ থেকে ৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ডজনপ্রতি মুরগির ডিমের দাম বেড়েছে ১৫ টাকা। ১৩৫ টাকা দামের ডিম বর্তমানে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা দরে কিনছেন ক্রেতারা। লাগামহীনভাবে বাড়ছে হাঁস ও দেশী মুরগির ডিমের দাম। দুই সপ্তাহ আগে ১৬৫ টাকা থাকলেও আজকের বাজারে তা ২০০ থেকে ২১০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। গড়ে ডজনপ্রতি বেড়েছে ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা।
তবে কারওয়ান বাজারসহ কিছু বাজারে এ দাম দোকানভেদে কিছুটা কমও দেখা গিয়েছে। চড়া মূল্যে অস্থিতিশীল কাঁচাবাজার। আগাম শীতকালীন সবজি নিম্নমধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। এর মধ্যে শিম ১০০ থেকে ১২০, টমেটো ১৪০, মুলা ৬০ থেকে ৮০, করলা ১০০, বরবটি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ঢেঁড়স, পটল, বেগুন, মিষ্টি কুমড়া, কাঁকরোল, চিচিঙ্গাসহ অধিক প্রচলিত সবজি কোনটিই ৫০ থেকে ৬০ টাকার কমে পাওয়া যায় না। শাকের আঁটিও ২০ টাকার নিচে পাওয়া যায় না। যদিও আঁটিতে পরিমাণে খুব কম দেয়া হয় বলে জানান ক্রেতারা।
মাংসের বাজার ঘুরে দেখা যায় উচ্চমূল্যে মাংসের দাম অনেকটা আগের মতোই রয়েছে। ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩০০ থেকে ৩২০, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৭২০ ও খাসি ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজার অনেকটা আগের মতোই রয়েছে। মোটা চাল (স্বর্ণা ও চায়না ইরি) বাজারে বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৫২ থেকে ৫৪ টাকায়। মাঝারি মানের চাল (বিআর ২৮) ৫৮ থেকে ৬০ টাকা। সরু চাল মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮৫ টাকা পর্যন্ত। সরু চালের মধ্যে মিনিকেট ও নাজিরশাইলের বিক্রি বেশি। ভালো মানের মিনিকেট ৭৫ টাকা আর নাজিরশাইল কিনতে হলে গুনতে হবে প্রতি কেজিতে ৮৫ টাকা।
এদিকে অতিপ্রচলিত মাছের দাম কিছুটা বাড়তি। তেলাপিয়ার দাম ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। পাঙ্গাশ ১৬০ টাকায় পাওয়া গেলেও গতকালের বাজারে তা ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সামুদ্রিক ও অন্যান্য মাছের দাম উচ্চমূল্যে অনেকটা আগের মতোই রয়েছে।