উদ্যোক্তা তৈরিতে কাজ করছে ঢাবির অন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ সেন্টার

ফিচার প্রতিবেদক

একটা কোম্পানি কীভাবে প্রতিষ্ঠা হবে, কীভাবে চলবে, সেটা বড় করবে কীভাবে, আইডিয়া ডেভেলপ থেকে ইনভেস্টরকে দিয়ে প্রডাক্ট ডিজাইন করে মার্কেটে বিক্রি, তারপর রেভিনিউ নিয়ে ঘরে ফেরা। পুরো প্রক্রিয়া শেখাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন, ক্রিয়েটিভিটি অ্যান্ড অন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ সেন্টার (আইসিই) তবে শুধু বাণিজ্যের শিক্ষার্থীরাই নন, বিজ্ঞান বা মানবিকের শিক্ষার্থীরাও নিতে পারবেন আইসিইর মেন্টরশিপ। যাদের ব্যবসায় শিক্ষা সম্পর্কে ধারণা নেই বা অন্য বিষয়ে পড়ালেখা করেছেন তারা কীভাবে উদ্যোক্তা হবেন? বাংলাদেশে এমন উদ্যোক্তাদের তৈরি এবং তাদের দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করছে (আইসিই) একটি উদ্ভাবন নির্ভর উদ্যোগী বাংলাদেশ বিনির্মাণের ক্ষেত্রে ইন্টার ডিসিপ্লিনারি প্লাটফর্ম হিসেবে সেন্টারটি তার প্রতিষ্ঠাকাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে। সরকার, একাডেমিয়া, ইন্ডাস্ট্রি, ডেভেলপমেন্ট পার্টনারসহ সব অংশীদারের সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে উদ্যোক্তা হিসেবে ব্যক্তিদের উন্নয়ন, বিভিন্ন প্রোগ্রাম পরিচালনা, পলিসি উন্নয়নে নীতিনির্ধারকদের সহায়তার জন্য একটি সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করে এই সেন্টার।

আইসিইর নির্বাহী পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক মো. রাশেদুর রহমান বলেন, মূলত চারটি বিষয় নিয়ে কাজ করে এই সেন্টার। পারসন, প্রোগ্রাম, পলিসি এবং প্লাটফর্ম। ভবিষ্যৎ উদ্যোক্তা হতে বিভিন্ন ধরনের ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয় এখানে। আপনি মিউজিক, বাংলা, পলিটিক্যাল সায়েন্স বা যেকোনো বিষয়ে পড়ালেখা করেন না কেন, তাদের সবাইকে ভবিষ্যৎ উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য ট্রেনিং এবং মেন্টরশিপ দিচ্ছে আইসিই। এই সেন্টারের প্রধান লক্ষ্যই হলো ভবিষ্যৎ উদ্যোক্তা তৈরিতে ক্যাপাসিটি তৈরি করা। বাংলাদেশের এখনো ইন্টার-ডিসিপ্লিনারি প্লাটফর্ম গড়ে ওঠেনি। আইসিই এমনভাবে কাজ করছে, যেন মানুষ মনে করে শুধু বিজনেসের শিক্ষার্থীরাই নয়, সবাই উদ্যোক্তা হতে পারেন।

করোনাকালে ৬৪টি জেলার কুটির, ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্পোদ্যোক্তাদের মধ্যে ১০০ ঘণ্টার ভার্চুয়াল মেন্টরশিপ পরিচালনা করে তারা। এতে দেশের পাঁচ শতাধিক উদ্যোক্তা অংশ নেন এবং উপকৃত হন। সামগ্রিক ১০০ ঘণ্টা মেন্টরশিপ প্রোগ্রামটিতে দিনব্যাপী আলোচনা করা হয় বাজারজাত, সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি, লিগ্যাল, গভর্ন্যান্স ডকুমেন্টেশন, স্ট্র্যাটেজি, ডাইভার্সিটি, মানসিক স্বাস্থ্য, অর্থায়ন, হিসাবরক্ষণ এবং প্রণোদনা প্যাকেজ সম্পর্কে। সিএমএসএমই ব্যবসায়ীরা সরকার, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, শিল্পপ্রতিষ্ঠান, একাডেমিয়া প্রতিনিধিরাসহ খাতের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার মাধ্যমে তাদের অভিজ্ঞতা এবং মতামতকে জানতে পেরেছেন। এসএমই খাতে জড়িত ব্যবসায়ীদের গল্পগুলো জানার পাশাপাশি নির্বাচিত ব্যবসায়ীদের সহায়তার উদ্দেশ্যে অ্যাডভাইজরি সেবা, ট্রেনিং এবং মেন্টরশিপ প্রদান করে গৃহীত গবেষণাপত্রের ফলাফল দেশের নীতিনির্ধারক এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারদের সঙ্গে শেয়ারের মাধ্যমে কার্যকরী নীতিনির্ধারণ বাস্তবায়ন করা তাদের লক্ষ্য।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন