সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগ

সাজেদ ফাতেমী

ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির উপাচার্যের সঙ্গে মুট কোর্ট বিজয়ী দল ছবি: সংগৃহীত

২০০৩ সালে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আইন বিভাগের কার্যক্রম চলছে। মানসম্মত ফ্যাকাল্টি, আধুনিক শিক্ষা কারিকুলাম আর নিবিড় পাঠদানের পাশাপাশি হাতেকলমে শেখানোর মাধ্যমে বিভাগের শিক্ষার্থীরা শুরু থেকেই নানাক্ষেত্রে সাফল্য দেখিয়ে আসছেন।

ক্লাসের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় ২০১০ সালে চালু হয় মুট কোর্টের কার্যক্রম। তবে সাফল্য আসতে একটু সময় লাগে। প্রথমবারের মতো সাফল্য ধরা দেয় ২০১৫ সালে। সে সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালে অর্জনের ডালি যেন ভরে ওঠে। বছর মার্চে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে অনুষ্ঠিত স্টেটসন ইন্টারন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল মুট কোর্টের পূর্ব এশিয়া আঞ্চলিক রাউন্ডে বিজয়ী হয় ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি মুট কোর্ট দল। এর মধ্য দিয়ে বছর এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক রাউন্ডের জন্য উত্তীর্ণ হয়। সে রাউন্ডের অংশ নেয়া ৪৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাডভান্সড রাউন্ডের জন্য নির্বাচিত হয়, যার মধ্যে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি মুট কোর্ট দল ছিল অন্যতম। বাংলাদেশের প্রথম কোনো দল হিসেবে ইভেন্টে অংশ নিয়ে আন্তর্জাতিক চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে এই দল।

বাংলাদেশে পর্যন্ত ছয়বার ওয়ার্ল্ড কাপ মুট কোর্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। তার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তিনবার এবং ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি তিনবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়টির আইন বিভাগের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এটি সর্বশেষ যুক্ত হয়েছে। এর আগে আইন বিভাগের উল্লেখযোগ্য অর্জনের মধ্যে রয়েছে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে পাস করা দেড় হাজার আইনজীবী বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে নিবন্ধিত হয়েছেন, যা বাংলাদেশের অন্যান্য প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলোর আইন বিভাগ থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত যোগফলের চেয়েও বেশি। হাইকোর্টেও নিবন্ধিত হয়েছেন ৩৫০ জন। নয়জন শিক্ষার্থী বর্তমানে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের মধ্যে একজন যুগ্ম জেলা জজ, দুজন জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ ছয়জন সহকারী জজ। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি মুট কোর্ট সোসাইটির (ইইউএমসিএস) একাধিক সাফল্য। বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অনেকে ইউএনএইচসিআরে, ডব্লিউটিওতে, ইউএসএইড, অ্যাকশন এইড, নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিল, ড্যানিশ রিফিউজি কাউন্সিলসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থায় সাফল্যের সঙ্গে কাজ করছেন।

ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগ মুট কোর্টের সাফল্যের পেছনে বিভাগের শিক্ষকদের অবদান অনস্বীকার্য। তবে কাণ্ডারির ভূমিকায় আছেন আইন বিভাগের ডিন অধ্যাপক . আনোয়ার জাহিদ। . আনোয়ার জাহিদ বলেন, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থীরা দেশের বিচার বিভাগে ব্যাপক অবদান রাখছেন। তাদের অবদান প্রমাণ করে আমরা কতটা সফল হয়েছি। সাফল্যের অংশীদার হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উপাচার্য অধ্যাপক . সহিদ আকতার হুসাইনের অবদানের কথা উল্লেখ করেন।

আইন বিভাগের চেয়ারপারসন হিসেবে আছেন সহকারী অধ্যাপক এবিএম ইমদাদুল হক খান। তিনি আইন বিভাগ মুট কোর্ট দলের সাফল্যে ভীষণ খুশি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন