লক্ষ্য নির্ধারণে ব্যর্থতা
এইচএসসি পরীক্ষার পর সঠিক লক্ষ্য নির্ধারণে ব্যর্থ হন অনেক শিক্ষার্থীই। তারা তাদের নিজেদের ভালো লাগার জায়গাটি বুঝতে পারেন না। সিদ্ধান্ত নেন পরিবারের চাপে পড়ে। অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে একাধিক জায়গার প্রস্তুতি একসঙ্গে নেন। এতে কোনো প্রস্তুতিই ভালোভাবে নেয়া যায় না। এটাই পরে ব্যর্থতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস/আত্মবিশ্বাসের অভাব
অনেকের মধ্যে দেখা যায় অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস। কেউ আবার পর্যাপ্ত আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভালো করতে পারেন না পড়ালেখায়। এ আত্মবিশ্বাসহীনতা তাদের হতাশার দিকে ঠেলে দেয়। আবার মাত্রাতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসও ক্ষতিকর।
না বুঝে মুখস্থ করার প্রবণতা
পরীক্ষার মৌসুমে বিষয়ভিত্তিক গভীর জ্ঞান অর্জন না করে মুখস্থ করার চেষ্টা করেন অনেকে। না বুঝে মুখস্থ করে সাময়িকভাবে কাজ চালিয়ে নেয়া যায়। কিন্তু পুরো সিলেবাসের ওপর পরীক্ষা হলে অথই জলে পড়তে হয়। তখন আর মুখস্থ করে পার পাওয়ার সুযোগ থাকে না।
দীর্ঘসূত্রতা
অনেকে কাল পড়ব বা একটু আরাম করে নিই, সামনে সপ্তাহ থেকে কোমর বেঁধে পড়াশোনা শুরু করে দেব ভাবেন। ভবিষ্যতে পড়ব বলে পড়া জমিয়ে রাখা এবং সময়ের সঠিক ব্যবহার না করা একটি বদভ্যাস। এতে শিক্ষার্থীদের শেষ সময়ে অতিরিক্ত চাপ নিতে হয়, যা অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয় না।
মোবাইল/গ্যাজেট আসক্তি
সময়ের সঠিক ব্যবহারের দিকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর নজর দেয়া প্রয়োজন। অনেকেরই বিপুল সময় অপচয় হয় স্মার্টফোন, কম্পিউটার ও অন্যান্য যন্ত্র ব্যবহারে, যা তাদের সফলতার পথে একটি বড় অন্তরায়। গ্যাজেট ব্যবহার করে পড়াশোনার অনেক ব্যাপারে সাহায্য নেয়া গেলেও অতিরিক্ত ব্যবহার মনোযোগের বিঘ্ন ঘটায়, নষ্ট করে সময়ও।
কোচিং নির্ভরতা
শিক্ষার্থীদের একটা বড় অংশ মনে করে শুধু একটি ভালো কোচিংয়ে পড়তে পারাটাই যথেষ্ট। কিন্তু ভর্তিযুদ্ধসহ যেকোনো পরীক্ষায় ভালো করতে হলে নিজের চেষ্টা ও পরিশ্রমের দিকেও নজর দেয়া প্রয়োজন। কোচিং মূলত একটি নির্দেশনা দেয়। তবে পড়ার কাজটা নিজেরই।