‘ডিইউবিডি২১’

সফটওয়্যারের আদ্যোপান্ত

বাংলা ভাষায় পরিচালিত গবেষণাকর্মের মধ্যে সাদৃশ্য শনাক্তে একটি সফটওয়্যার ডেভেলপ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সফটওয়্যারটি তৈরির দায়িত্বে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার। তার সঙ্গে কথা বলে সফটওয়্যারটি তৈরি এর ব্যবহার বিষয়ে লিখেছেন বণিক বার্তার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক আনিসুর রহমান

সফটওয়্যারের নাম ডিইউবিডি২১ কেন?

আমরা সফটওয়্যারের নাম দিয়েছি ডিইউবিডি২১ ডিইউ দিয়ে ঢাকা ইউনিভার্সিটি, বিডি দিয়ে বাংলাদেশ এবং ২১ দিয়ে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিকে স্মরণ করা হয়েছে। সফটওয়্যারের নাম বাংলায়ও দেয়া যেত।

ডিইউবিডি২১ সফটওয়্যারের কাজ কী?

সফটওয়্যার দুটি পর্যায়ে গবেষকদের সহযোগিতা করবে। প্রথমত, একটি গবেষণার শুরুর আগে। যেমন একজন গবেষকের গবেষণা কাজে কিছু জার্নাল বা আর্টিকেল প্রয়োজন। তখন তিনি সফটওয়্যারের সার্চ ইঞ্জিনে নির্দিষ্ট কি-ওয়ার্ড সার্চ করে সফটওয়্যারে থাকা তথ্যভাণ্ডারে থেকে প্রয়োজনীয় জার্নাল খুঁজে নিতে পারেন। এভাবে সহজে তথ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করবে।

দ্বিতীয়ত, কোনো গবেষকের গবেষণা কর্মে কত শতাংশ টেক্সট সিমিলারিটি আছে, তা খুঁজে পেতে সহযোগিতা করবে।

সফটওয়্যার কোন প্রক্রিয়ায় গবেষণাপত্রের টেক্সট সিমিলারিটি নির্ণয় করবে?

আমরা সফটওয়্যারে একটা ইনডেক্স (কেন্দ্রীয় তথ্যভাণ্ডার) তৈরি করেছি। এরই মধ্যে আমরা তথ্যভাণ্ডারে উইকিপিডিয়া এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরিতে থাকা আর্টিকেলগুলো যুক্ত করেছি। অচিরেই বাংলা অ্যাকাডেমি, এশিয়াটিক সোসাইটিসহ পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকাশনী লাইব্রেরিতে থাকা পাণ্ডুলিপিগুলো ভাণ্ডারে যুক্ত করব। এভাবে বাংলা ভাষায় লেখা প্রায় সব ধরনের টেক্সট তথ্যভাণ্ডারে একীভূত করা হবে।

একাডেমিক দিক থেকে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু?

প্রথমত, যখন আমরা গবেষণা বা রিসার্চ করি, তখন একটি তথ্য বারবার সার্চ করতে হয়; হাজার হাজার বই ঘাটতে হয়। এখন সফটওয়্যারের ইনডেক্সে খুঁজলে নিমিষেই কাঙ্ক্ষিত তথ্য পাওয়া যাবে।

দ্বিতীয়ত, অনেক সময় গবেষকদের পক্ষে হাজার হাজার বই গবেষণাপত্র খুঁজে বের করা এবং পড়া সম্ভব হয় না। ফলে তথ্যের অভাবে গবেষণার মান তুলনামূলক ভালো হতো না। কিন্তু এখন যেহেতু একটা ক্লিক করার মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যেই গবেষকরা সব তথ্য পেয়ে যাবেন। একটি বিষয়ে কোথায় কতগুলো লেখা আছে তা একটা সার্চেই চলে আসবে। তাই এটি অ্যাকাডেমিক গবেষণার মান বাড়াতে সহায়ক হবে।

গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি শনাক্তে সফটওয়্যারটি কীভাবে সহযোগিতা করবে?

কোনো একটা গবেষণাপত্রে প্লেজারিজমের অভিযোগ এলে গবেষণাপত্রটি কোন গবেষণার মিল পাওয়া যাচ্ছে, তা সফটওয়্যারে সার্চ করে খুঁজে বের করা যাবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন