ইউক্রেনের বন্দর
ওদেসা
থেকে
শস্যবাহী একটি
জাহাজ
লেবাননের উদ্দেশ্যে রওনা
করেছে। সিয়েরা
লিওনের
পতাকাবাহী পণ্যবাহী জাহাজ
‘রাজোনি’ ওদেসা
বন্দর
থেকে
লেবাননের উদ্দেশ্যে ছেড়ে
গেছে। ইউক্রেন-রাশিয়া
যুদ্ধ
শুরুর
পর
এই
প্রথম
ইউক্রেনের বন্দর
ছাড়ল
কোন
শস্যবাহী জাহাজ। তুরস্ক
ও
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা এ
তথ্য
নিশ্চিত করেছে।
জাতিসংঘের দেওয়া অপর এক বিবৃতিতে জানানো হয়, রাজোনি নামে জাহাজটিতে ২৬ হাজার টন ভুট্টা রয়েছে। জাহাজটি ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে বন্দরে আটকা পড়েছিল।
ইউক্রেনের অবকাঠামো মন্ত্রী ওলেকসান্দার কুবরাকভ জানান, স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে নয়টায় বন্দর ছেড়েছে রাজোনি। সামনের দিনগুলোত আরও ১৬ টি জাহাজ বন্দর ছাড়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, শস্যবাহী জাহাজটি মঙ্গলবার প্রথমে তুরস্কের ইস্তানবুল বন্দরে পৌঁছাবে। সেখানে জাহাজটিকে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এরপর জাহাজটি লেবানন বন্দরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে।
গত ২২ জুলাই কৃষ্ণ সাগরের বন্দর দিয়ে শস্য রফতানি শুরুর জন্য চুক্তি সই করেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। তুরস্ক এবং জাতিসংঘের সহায়তায় রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে চুক্তিটি সই হয়। ধারণা করা হচ্ছে এই চুক্তির কারণে ইউক্রেন বন্দরে আটকে থাকা দুই কোটি ২০ লাখ টন খাদ্যশস্য ও অনান্য কৃষি পণ্য বিদেশে রফতানির সুযোগ সৃষ্টি হবে। ওই চুক্তির মাধ্যমে রাশিয়াও শস্য ও সার বিদেশে রপ্তানির সুযোগ পাবে।
ইস্তানবুলে রাশিয়ার পক্ষে চুক্তিতে সই করেছিলেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী সার্গেই শোইগু। ইউক্রেনের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন সে দেশের অবকাঠামো মন্ত্রী ওলেকসান্দার কুবরাকভ। জাতিসংঘের মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান উপস্থিত ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউর নিষেধাজ্ঞায় রাশিয়ার রফতানি বাণিজ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ইউক্রেনের শস্য রফতানি ব্যাহত হওয়ায় পুরো বিশ্বের খাদ্য সরবরাহ চেইনে অস্থিরতা দেখা দেয়। উল্লেখ্য বিশ্বের এক চতুর্থাংশ গমের সরবরাহকারী ইউক্রেন। এছাড়া যব, ভুট্টা ও সূর্যমুখীরও শীর্ষ রফতানিকারক দেশ এটি। এদিকে বিশ্বের প্রধান সার রফতানিকারক দেশ রাশিয়া।