দলের মহাবিপদে মুশফিকুর রহিম ও লিটন কুমার দাসের বীরত্বপূর্ণ সেঞ্চুরি এবং এরপর সাকিব আল হাসান ও এবাদত হোসেনের ৯ উইকেট শিকার; ঢাকা টেস্টে এসব ছাপিয়ে আলোচনায় এখন বাংলাদেশের ব্যাটিং ধস। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের উইকেট যেন তামিম, মুমিনুলদের কাছে হাতের তালুর মতোই চেনা। সেখানেই কিনা পরপর দুই ইনিংসে স্বাগতিকদের টপ অর্ডারে ভয়াবহ ধস! প্রথম ইনিংসে ২৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এবার দ্বিতীয় ইনিংসে শুরুতেই ২৩ রানে নেই ৪ উইকেট! প্রথম ইনিংসের পুনরাবৃত্তিতে আকস্মিকই হারের মুখোমুখি স্বাগতিকরা।
প্রথম ইনিংসে ১৪১ রানে পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশ জবাব দিতে নেমে গতকাল বিকালে ষষ্ঠ থেকে ১০ ওভারের মধ্যে চারটি উইকেট হারায়। আসিথা ফার্নান্দোর করা ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে কুশল মেন্ডিসকে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন তামিম ইকবাল। তিনি প্রথম ইনিংসেও ‘ডাক’ মারেন। এরপর অষ্টম, নবম ও দশম ওভারে টানা তিনটি উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। অষ্টম ওভারে নাজমুল হোসেন শান্ত দৃষ্টিকটুভাবে হয়েছেন রানআউট। কাসুন রাজিথার করা পরের ওভারে উইকেটকিপার নিরোশান ডিকবেলাকে ক্যাচ দেন ভয়াবহ রানখরায় থাকা মুমিনুল হক। পরের ওভারে তামিমের মতোই আসিথার বলে কুশলকে স্লিপে ক্যাচ দেন মাহমুদুল হাসান জয়। শোচনীয় এ পরিস্থিতিতে প্রথম ইনিংসের মতো আবারো দলকে টেনে তোলার ভার পড়েছে মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের কাঁধে। মুশফিক ১৪ ও লিটন ১ রানে অপরাজিত থেকে চতুর্থ দিন মাঠ ছাড়েন।