শান্ত-মারিয়াম ইনস্টিটিউট অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজিতে স্বপ্নের ক্যারিয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক

যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তন-পরিবর্ধনের কাজটি সঠিকভাবে করতে না পারায় বিশেষ করে প্রচলিত ডিগ্রী কালচারে সিমাবদ্ধ থাকার কারনে দীর্ঘ পড়াশুনা শেষে অর্জন কেবল সনদ সর্বশ্ব শিক্ষাই।

ফলে জব মার্কেট ক্রমশ সীমিতই হয়ে আসছিল। অথচ সেই ৮০র দশকেই বাংলাদেশে জব মার্কেট বলতে গার্মেন্টস শিল্পের বিকাশ তথা সম্ভাবনা ছিল লক্ষণীয়। কিন্তু সে অর্থে দক্ষ জনবল তথা এই সেক্টরে প্রাতিষ্ঠানিক কোন পড়াশুনাও ছিলনা। পাশাপাশি গার্মেন্টস শিল্পের মত গ্রাফিক ডিজাইনও একসময় আমাদের বাস্তব জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হয়ে উঠতে থাকে।

বিশেষকরে তরুণ প্রজন্মকে এ বিষয়ে লেখাপড়া করিয়ে কর্মমুখি তথা স্বনির্ভর করার সম্ভাবনা ক্রমশঃ বৃদ্ধি পাচ্ছিল। অনুরুপ ইন্টেরিয়র আর্কিটেকচারও। অর্থনেতিক সমৃদ্ধির সাথেসাথে মানুষের সৌন্দর্যবোধেও আমূল পরিবর্তন-পরিবর্ধন আসতে শুরু করে এবং মানুষ আপন আবাস তথা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে নান্দনিক তথা শৈল্পিকভাবে তৈরির প্রতি ঝুঁকছে প্রতিনিয়ত। 

আধুনিক কর্পোরেট অফিস থেকে বাসা-বাড়ি সব কিছুতেই ইন্টেরিয়র আর্কিটেকচারের ছোঁয়া দৃশ্যমান। ব্যক্তিগত ক্যারিয়ার তথা ব্যবসায়িক জীবনেও এর গুরুত্ব অপরিসীম। আর এখানেই অবদান রেখে যাচ্ছে ইন্টেরিয়র আর্কিটেকচার। উক্ত বাস্তবতায় ‘শান্ত-মারিয়াম ইন্সটিউট অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি উল্লেখিত বিষয়গুলো প্রয়োজনীয় দক্ষ শিক্ষক ও কারিগরী সুযোগ-সুবিধায় দেশে প্রথমবারের মত শুরু করে।

কর্মমুখী ও সৃজনশীল শিক্ষাব্যবস্থার স্বপ্নদ্রষ্টা, শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত মোঃ ইমামুল কবির শান্ত ক্যারিয়ার নির্ভর বিভিন্ন কোর্সে লেখাপড়ার মাধ্যমে গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন শিল্পে দক্ষ জনবল সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০০৩ সালে দেশে ‘শান্ত-মারিয়াম ইন্সটিউট অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি নামক এই ব্যাতিক্রমধর্মী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা শুরু করেন। 

যেখানে ফ্যাশান ডিজাইন, গ্রাফিক ডিজাইন ও ইন্টেরিয়র আর্কিটেকচার এর মত সৃজনশীল তথা সময়োপযোগী বিষয়গুলো পড়ানো হয়। এসব বিষয়ে লেখাপড়া করে তরুণ প্রজন্ম আকর্ষণীয় চাকরি বা ব্যবসায় অন্তর্ভূক্ত হয়ে নিজেদেরকে সাবলম্বি করাসহ অনেকে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি দিয়ে চাকরী ও ব্যবসায় অন্তর্ভূক্ত হয়ে সমৃদ্ধ ক্যারিয়ার তথা বিপুল বৈদেশিক মূদ্রা উপার্জন করছে।

প্রতিষ্ঠানটির ডেপুটি ডিরেক্টর তারেক হাসান ফারুক বলেন, গতানুগতিক ও মূল স্রোতধারার বাইরে এসে এজাতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ ছিল অনেক সাহসী ও অর্থনৈতিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু ‘ইমামুল কবির শান্ত’ এই ঝুঁকি নিতে পেরেছিলেন তাঁর দূরদর্শী অন্তর দৃষ্টি ও প্রজ্ঞার কারণেই। তিনি বলেন, দেশে আমরাই প্রথম ইউকে ভিত্তিক Edexcel তথা Pearson এর অধীনে ২ বছর মেয়াদী, Diploma কোর্সের ব্যবস্থা করি, যা আজও সাফল্যের সাথে চলছে। 

আমাদের প্রচুর সংখ্যক শিক্ষার্থী ২ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্স সফলভাবে স¤পন্ন করে কেউবা বিভিন্ন শিল্পে কর্মরত আছে আবার কেউ নিজ উদ্যোগে গার্মেন্টস শিল্প, অ্যাড ফার্ম ও বাবুটিক শিল্পের মত বিভিন্ন ব্যবসায় অন্তর্ভূক্ত হচ্ছে এবং অনেকে এই কোর্স করে বিদেশেও উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে স্বপ্নের ক্যারিয়ারে সমৃদ্ধ হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন