বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সোমবার জাপান, সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যৌথভাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ ও ভারতের দূতাবাস।
টোকিওস্থ বাংলাদেশ ও ভারতের দূতাবাস যৌথভাবে উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ৫০ বছর বা মৈত্রী দিবস পালন করে। সোমবার সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি হোটেলে এক সংবর্ধনা ও সান্ধ্যভোজের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত পার্লামেন্টারি ভাইস মিনিস্টার হোন্ডা তারো। জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ ও ভারতের রাষ্ট্রদূত সন্জয় কুমার ভার্মা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিকে স্বাগত জানান।
জাপানের সংসদ সদস্য, টোকিওস্থ বিভিন্ন দূতাবাসের রাস্ট্রদূত ও প্রধান, জাপানের উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, শিক্ষাবিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ ও ভারতের জাপানপ্রবাসী উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নাগরিক এ অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ, ভারত ও জাপানের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয় এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে সব শহীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
বাংলাদেশ ও ভারতীয় হাইকমিশনের যৌথ আয়োজনে সিঙ্গাপুরে সাড়ম্বরে পালিত হয় ঐতিহাসিক মৈত্রী দিবস। আয়োজনে ‘গেস্ট অব অনার’ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিঙ্গাপুর সরকারের অ্যাম্বাসেডর-এট-লার্জ (মন্ত্রী পদমর্যাদা) প্রফেসর টমি কোহ্। সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. তৌহিদুল ইসলাম, এনডিসি ও ভারতের হাইকমিশনার পি কুমারান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
প্যারিসে বাংলাদেশ ও ভারত দূতাবাস কর্তৃক যৌথভাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনৈতিক কোরের সদস্য ও ফ্রান্সের পররাষ্ট্র দপ্তর ও ইউনেস্কো সদর দপ্তরের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশ নেন। ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা ও ভারতের রাষ্ট্রদূত জাওয়াদ আশরাফ মৈত্রী দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।