দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেন বেড়েছে। এ সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে এক্সচেঞ্জটির লেনদেন আগের সপ্তাহের তুলনায় প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা বেড়েছে। লেনদেনের পাশাপাশি গত সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধনও বেড়েছে।
সাপ্তাহিক লেনদেন বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৬ হাজার ৯৯২ কোটি টাকার লেনদেন হয়। যেখানে আগের সপ্তাহে লেনদেন ছিল ৫ হাজার ৮৯৮ কোটি টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন বেড়েছে ১ হাজার ৯৪ কোটি টাকা বা ১৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
লেনদেনের পাশাপাশি গত সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধনও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে। গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। সপ্তাহ শেষে যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে এক্সচেঞ্জটির বাজার মূলধন বেড়েছে ৪ হাজার ৬০০ কোটি টাকার বেশি বা দশমিক ৮৩ শতাংশ।
গত সপ্তাহে টাকার অংকে ডিএসইর গড় লেনদেনও বেড়েছে। গত সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইর গড় লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা। যেখানে আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন ছিল ১ হাজার ১৭৯ কোটি টাকা।
লেনদেন ও বাজার মূলধনের পাশাপাশি গত সপ্তাহে ডিএসইর সব সূচকই বেড়েছে। এর মধ্যে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৯৫ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ বেড়ে ৭ হাজার ৯১ দশমিক ৮২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহে যা ছিল ৬ হাজার ৯৯৫ দশমিক ৯৩ পয়েন্টে।
নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ সপ্তাহের ব্যবধানে ১৩ দশমিক ৯৮ পয়েন্ট বা দশমিক ৫২ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ৬৯৪ দশমিক ৯৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ২ হাজার ৬৮০ দশমিক ৯৭ পয়েন্টে।
ডিএসইর শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ২ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট বা দশমিক ১৯ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৪৮০ দশমিক ৩৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ১ হাজার ৪৭৭ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৮৪ কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৩টির, কমেছে ১৯১টির, অপরিবর্তিত ছিল ১৬টির। আর লেনদেন হয়নি ৪টির।
খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ২৫ দশমিক ২ শতাংশ নিয়ে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে ব্যাংক খাত। ১২ দশমিক ৪ শতাংশ নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। ১২ দশমিক ৩ শতাংশ নিয়ে তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বিবিধ খাত। ১১ দশমিক ৩ শতাংশ নিয়ে তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে বস্ত্র খাত। এছাড়া পরের অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে প্রকৌশল ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাত। খাত দুটোর লেনদেন ছিল যথাক্রমে ৫ দশমিক ১ ও ৪ দশমিক ৭ শতাংশ।
দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে প্রায় ২৫২ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহে লেনদেন ছিল ১৬৫ কোটি টাকার। গত সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে ২০ হাজার ৭২৩ দশমিক ১২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ২০ হাজার ৪৯৭ দশমিক ২৪ পয়েন্টে। আলোচ্য সময়ে সিএসইতে মোট ৩৩৬টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৬টির, কমেছে ১৭৬টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১৪টির শেয়ারদর।