টানা সাত কার্যদিবসের পতন শেষে গতকাল ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে দশমিক ৭৯ শতাংশ। সূচকের এ উত্থানে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের শেয়ারের। এ দুই কোম্পানি মিলে সূচকে ৪১ পয়েন্ট যোগ করেছে। দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। অবশ্য সূচক বাড়লেও দুই এক্সচেঞ্জেই দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন শুরু হলেও ১০ মিনিট পর থেকেই শেয়ার বিক্রির চাপে পয়েন্ট হারাতে থাকে সূচক। একপর্যায়ে ৭ হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে যায় সূচক। অবশ্য লেনদেন শেষ হওয়ার ঘণ্টা খানেক আগে ক্রয়চাপ বেড়ে যায়, যা শেষ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। গতকাল প্রায় ৫৬ পয়েন্ট বেড়ে ৭ হাজার ৭৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে ডিএসইএক্স, যা আগের কার্যদিবসে ছিল ৭ হাজার ২১ পয়েন্টে। গতকাল সূচকের উত্থানে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ ও এনআরবিসি ব্যাংকের শেয়ারেরও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল।
ডিএসইর শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গতকাল দিন শেষে ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৫১৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে, যা আগের দিন ছিল ১ হাজার ৫০৫ পয়েন্টে। ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ দিনের ব্যবধানে ৪৩ পয়েন্ট বেড়ে গতকাল ২ হাজার ৬৯৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের দিন শেষে যা ছিল ২ হাজার ৬৫৬ পয়েন্টে। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৩১১ কোটি টাকা। এর আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৬৮২ কোটি টাকা। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৪টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দিন শেষে দর বেড়েছে ১৫৩টির, কমেছে ১৭৯টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৪২টি সিকিউরিটিজের বাজারদর।
দেশের আরেক পুঁজিবাজার সিএসইতে গতকাল সিএসসিএক্স সূচক দিনের ব্যবধানে ১০৬ পয়েন্ট বেড়ে ১২ হাজার ৪৩৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের কার্যদিবসে সূচকটির অবস্থান ছিল ১২ হাজার ৩২৮ পয়েন্টে। এদিন এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ২৭৩টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১১৪টির, কমেছে ১৩২টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২৭টির বাজারদর। গতকাল সিএসইতে মোট ৪১ কোটি টাকার সিকিউরিটিজ হাতবদল হয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৪৮ কোটি টাকা।
