একদিনের ব্যবধানে ৬ হাজারের নিচে সূচক

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০১৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ছিল হাজার ৫০ পয়েন্টে। এর তিন বছরেরও বেশি সময় পর গত রোববার ডিএসইএক্স হাজার পয়েন্ট ছাড়িয়ে যায়। তবে এর পরদিন সোমবার পয়েন্ট হারিয়ে সূচকটি আবারো হাজারে নেমে যায়। সূচকের পাশাপাশি গতকাল পুঁজিবাজারে লেনদেনও কমেছে। ডিএসইর পাশাপাশি চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) গতকাল সূচক লেনদেন কমেছে।

বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, হাজার পয়েন্টকে ঘিরে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা গেছে। কেউ কেউ মনে করছেন সূচকের উত্থান সামনের দিনগুলোতে অব্যাহত থাকবে। শ্রেণীর বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার কেনার প্রবণতা ছিল লক্ষণীয়। অন্যদিকে এক শ্রেণীর বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন সূচক হাজার পয়েন্ট অতিক্রম করলেও সেটি স্থায়ী হবে না। তাই তারা শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা তুলে নেয়াকে প্রাধান্য দিচ্ছেন। অবশ্য আগামী অর্থবছরের বাজেট পুঁজিবাজারবান্ধব হবে, প্রত্যাশায় সামনের দিনগুলোতেও বাজার ইতিবাচক থাকবে বলে মনে করছেন তারা।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল লেনদেন শুরুর পর থেকেই নিম্নমুখী ছিল সূচক। মাঝে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখিতা দেখা গেলেও শেষ পর্যন্ত সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়। গতকাল ডিএসইএক্স প্রায় ১৮ পয়েন্ট কমে হাজার ৯৯১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, যা এর আগের দিন শেষে ছিল হাজার পয়েন্টে। গতকাল সূচকের পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি (বিএটিবিসি), ন্যাশনাল ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের শেয়ারের।

এদিকে ডিএসইর শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গতকাল দিন শেষে সামান্য বেড়ে হাজার ২৮৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ দিনের ব্যবধানে আড়াই পয়েন্ট কমে গতকাল হাজার ২০৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের দিন শেষে যা ছিল হাজার ২০৮ পয়েন্টে। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে হাজার ৭৩৬ কোটি টাকা। এর আগের দিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল হাজার ১৪৯ কোটি টাকা। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৫৯টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড করপোরেট বন্ডের মধ্যে দিন শেষে দর বেড়েছে ১০২টির, কমেছে ২০৩টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৫৪টি সিকিউরিটিজের বাজারদর।

খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৯ দশমিক ১১ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ব্যাংক খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫ দশমিক ৮০ শতাংশ দখলে নিয়েছে সাধারণ বীমা খাত। দশমিক ৩৭ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বিবিধ খাত। দশমিক ৭৯ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে চতুর্থ অবস্থানে ছিল সিমেন্ট খাত। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দখলে ছিল মোট লেনদেনের দশমিক ৭৩ শতাংশ।

গতকাল ডিএসইতে লেনদেনের ভিত্তিতে শীর্ষ সিকিউরিটিজ ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড, কনফিডেন্স সিমেন্ট, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, ইফাদ অটোজ, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, নর্দার্ন ইন্সুরেন্স, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।

সিএসইতে গতকাল সিএসসিএক্স সূচক দিনের ব্যবধানে প্রায় ১১ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ৪৬২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের কার্যদিবসে সূচকটির অবস্থান ছিল ১০ হাজার ৪৭৩ পয়েন্টে। এদিন এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ২৯৭টি কোম্পানি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৮৯টির, কমেছে ১৬৯টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৩৯টির বাজারদর। গতকাল সিএসইতে মোট ৫৯ কোটি টাকার সিকিউরিটিজ হাতবদল হয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ১০৯ কোটি টাকা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন