করোনাভাইরাস

আজ ৩২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৬৯৮

বণিক বার্তা অনলাইন

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ১৮১ জনে। এ সময় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৬৯৮ জন। এতে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭ লাখ ৮০ হাজার ৮৫৭ জনে।

সোমবার (১৭ মে) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৫৮ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ২৩ হাজার ৯৪ জন।

২৪ ঘণ্টায় ১০ হাজার ৫০৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষা করা হয়েছে ৫ হাজার ৪৩০টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ। দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১০ হাজার ৩৪৭টি। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩২ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগেরই ২১ জন। এছাড়া চট্টগ্রামে, রাজশাহীতে ২, খুলনায় ২, বরিশালে ১, সিলেটে ৩ এবং ময়মনসিংহে ১ জন মারা গেছেন। 

২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ২৩ জন পুরুষ এবং ৯ জন নারী। এদের ২ জন বাদে বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন। এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মোট মারা যাওয়া ১২ হাজার ১৮১ জনের মধ্যে পুরুষ ৮ হাজার ৮২০ জন এবং নারী ৩ হাজার ৩৬১ জন। 

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১৭ জনেরই বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৭ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৪ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ৩ এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ১ জন রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রথম শনাক্ত হয়। এরপর মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে শতাধিক দেশে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়লে গত বছরের ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বাংলাদেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর মৃত্যুর খবর জানায় সরকার। যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৩তম ও মৃতের সংখ্যা বিবেচনায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৭তম স্থানে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি দেশে গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু করে সরকার।

গত মার্চে সংক্রমণের দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হলে ২৯ মার্চ বেশকিছু বিধিনিষেধসহ ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করে সরকার। প্রথমবারের চেয়ে দ্বিতীয়বারের সংক্রমণের তীব্রতা খুব বেশি। দেশে একদিনে সর্বোচ্চ ১১২ জনের মৃত্যুর খবর আসে গত ১৯ এপ্রিল। সে সময় টানা চারদিন মৃত্যুর সংখ্যা ছিল একশর ওপরে।

দেশে করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর গত ২৭ এপ্রিল রোগীর সংখ্যা সাড়ে সাত লাখ পেরিয়ে যায়। এর মধ্যে ৭ এপ্রিল সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যু হয়। আর চলতি বছরের ১ মে মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়ে যায়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন