বীমার শেয়ারে বড় দরপতন

নিজস্ব প্রতিবেদক

গত বছরের শেষ প্রান্তিকের পর বছরের মার্চের তৃতীয় সপ্তাহ থেকেই আবারো পুঁজিবাজারে বীমা খাতের শেয়ারের দর বাড়তে শুরু করে। বিশেষ করে সাধারণ বীমা খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর ধারাবাহিক ঊর্ধ্বমুখিতায় অস্বাভাবিক দরে লেনদেন হয়ে আসছে। শেষ পর্যন্ত খাতের শেয়ারের টানা দরবৃদ্ধির ছন্দপতন ঘটে গত বুধবার। সেদিন সাধারণ বীমার শেয়ারে দরপতন হলেও বেড়েছিল জীবন বীমা খাতের শেয়ারের দর। তবে গতকাল পুঁজিবাজারে সাধারণ জীবন বীমা মিলিয়ে পুরো বীমা খাতের শেয়ারেই বড় দরপতন হয়েছে। এদিন খাতের ৮২ শতাংশ কোম্পানির দরপতন হয়েছে।

বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্বল্প মূলধনি হওয়ার কারণে এক থেকে দেড় মাস ধরে বীমা খাতের শেয়ারের দর কারসাজির মাধ্যমে বাড়ানো হয়েছে। বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারদর যৌক্তিক দরের চেয়েও কয়েক গুণ বেশি হয়েছে। এতে স্বল্প সময়ে লাভের আশায় সেসব শেয়ারে ঝুঁকেছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। যাতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বীমা খাতের শেয়ারদর যারা কারসাজি করে  অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়েছেন, তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে। না হলে অস্বাভাবিকভাবে শেয়ারদর বাড়িয়ে এসব কারসাজি চক্রের বিনিয়োগকারীদের পুঁজি হাতিয়ে নেয়া বন্ধ হবে না। ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতির সম্মুখীন হবেন এবং বাজারের প্রতি সবার আস্থা হারাবে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল লেনদেন শুরুর পর থেকে সূচক ঊর্ধ্বমুখী ছিল। তার কিছু সময় পরেই সূচকের পতন ঘটে। পরে আবার ঊর্ধ্বমুখী অবস্থায় ফিরে সূচক। সারা দিন উত্থান পতনের মাধ্যমে মিশ্র অবস্থায় লেনদেন শেষ হয়। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৭ দশমিক ১৮ পয়েন্ট বেড়ে হাজার ৬০৬ দশমিক শূন্য পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, যা এর আগের কার্যদিবসে ছিল হাজার ৫৮৮ দশমিক ৮৩ পয়েন্টে। গতকাল সূচকের উত্থানে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল রেনেটা, ব্র্যাক ব্যাংক, বিএসআরএম লিমিটেড, আইএফআইসি ব্যাংক, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, ওরিয়ন ফার্মা, ইউনিক হোটেল, এসএস স্টিল এসিআইয়ের।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন