শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, ঐতিহ্যবাহী চামড়া শিল্পের স্থায়ী কাজে শ্রমিকদের স্থায়ীভাবে নিয়োগ প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। এ শিল্পের উন্নয়নে কারখানাগুলোকে কমপ্লায়েন্স করতে হবে। কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার পুরোপুরি চালু এবং পরিবেশ দূষণ রোধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণে আরো আন্তরিক হওয়ার জন্য তিনি মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রতিমন্ত্রী গতকাল রাজধানীর বিজয়নগরে পল্টন টাওয়ারে ইআরএফের সম্মেলন কক্ষে দি এশিয়া ফাউন্ডেশন আয়োজিত ট্যানারি শিল্পের শ্রমিকদের ওপর করোনার প্রভাব শীর্ষক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, রফতানিমুখী ঐতিহ্যবাহী এ শিল্পের উন্নয়নে সরকার মালিকদের পাশে আছে। শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের সুবিধাগুলো নিশ্চিত করে মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন করে এ শিল্পকে এগিয়ে নিতে হবে। তিনি চামড়া শিল্পনগরীতে শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মনিটরিং জোরদারের নির্দেশ দেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুধু ট্যানারি শিল্পই নয় সব খাতের বিশাল এ শ্রমজীবী মেহনতি মানুষকে বাঁচাতে, দেশের অর্থনীতি এবং দেশকে রক্ষায় মহামারীর শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সময়োপযোগী এবং দৃঢ় পদক্ষেপের ফলে সরকার শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে গার্মেন্টসসহ সব কল-কারখানায় উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে এবং অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সক্ষম হয়েছে।
করোনা মহামারীর শুরুতেই গার্মেন্টস শ্রমিকসহ ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের ওপর কভিড-১৯-এর প্রভাব হ্রাস করার জন্য ৩১ দফা নির্দেশনা জারি এবং পুনরুদ্ধার প্যাকেজ ঘোষণা নিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ সরকার, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জার্মান সরকারের অর্থায়নে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে রফানিমুখী তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য ও পাদুকা শিল্পের কর্মহীন হয়ে পড়া ও দুস্থ শ্রমিকদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতায় নগদ সহায়তা প্রদান কার্যক্রম শুরু করেছি।