দেশের সব অর্জনের বাতিঘর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় —প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে শুধু একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখলে হবে না। এটা বাংলাদেশের এমন একটা প্রতিষ্ঠান, যা আমাদের প্রতিটি অর্জনে পথ দেখিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের সব অর্জনের বাতিঘর। তার সে আলো ছড়িয়ে পড়বে সারা দেশে। গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শত বছরপূর্তির অনুষ্ঠানমালা উদ্বোধনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে নভেল করোনাভাইরাসের জন্য বিশ্ব স্থবির। আমিও ঘরে বন্দি। মাঝে মাঝে মনে হয় ২০০৭ সালে যখন গ্রেফতার হয়েছিলাম, তখন একটা ছোট কারাগারে ছিলাম, এখন মনে হচ্ছে একটা বড় কারাগারে আছি। কারণে আজকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপন হচ্ছে, কিন্তু সরাসরি উপস্থিত থাকতে পারলাম না। এটা সত্যিই আমার জন্য খুব কষ্টের, দুঃখের। মনটা পড়ে আছে বিশ্ববিদ্যালয়ে, কিন্তু উপায় নেই।

তিনি বলেন, করোনা আমাদের জন্য অনেক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে এসেছে। কিন্তু এর সব অতিক্রম করতে হবে। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হব। এর পরও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি কাঠামো রেখে যাচ্ছি। ২০৭১ সালে যেদিন দেশের শতবর্ষ উদযাপন হবে, সেদিন বেঁচে থাকব না। কিন্তু যারা থাকবে, তারা যেন উন্নত দেশে সেদিনটা উদযাপন করতে পারে, এটাই আমার ইচ্ছা।

শেখ হাসিনা বলেন, একটা সময় ছিল, যখন অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হতো। সাহস পেয়েছি বাবার কাছে। সব সময় বাবার আদর্শে চলেছি, তাই মনের মধ্যে কোনো ভয় বা দ্বিধা নেই। মনে-প্রাণে বিশ্বাস করি, একটা সিদ্ধান্ত নিলে সেটা বাস্তবায়ন করা যায়।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা, যেটা আমরা আনতে পেরেছি। অন্তত এটুকু দাবি করতে পারি, আমরা সরকার গঠন করার পর থেকে আমাদের প্রচেষ্টায় প্রতি রাতে অস্ত্রের ঝনঝনানি শোনা যায় না, গোলাগুলিও শোনা যায় না, বোমাবাজিও শোনা যায় না। অবশ্য বলা যায় না, আজকেই কথা বললাম, হয়তো আজকেই কেউ টাস করে একটা ফোটাতে পারে। এটা অবশ্য আমাদের দেশে হয়ে থাকে। ওটা কিছু না, এগুলো নিয়ন্ত্রণ করার মতো দক্ষতা যথেষ্ট আছে।

তিনি বলেন, আমাদের আগামী দিনের পথচলায়, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য যে দক্ষ মানবশক্তি দরকার, মানবশক্তি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ই গড়তে পারে বা এখান থেকে যাত্রা করতে পারে, যাকে অনুসরণ করে সমগ্র বাংলাদেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়। তারাও সেভাবে কাজ করবে, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে তাল মিলিয়ে যেন চলতে পারি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হবে তার কেন্দ্রবিন্দু।

সংকটকালে কভিড-১৯ টিকা উপহার পাঠানোয় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরই মধ্যে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন, যেটা আমরা পেয়েছি ভারত থেকে উপহারস্বরূপ, সেটা এসে পৌঁছে গেছে। এজন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে আমি ধন্যবাদ জানাই।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন