মানিকগঞ্জে ইউপি সদস্য হত্যা মামলায় পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ

মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বরটিয়া ইউনিয়নের ফুলহারা গ্রামের ইউপি সদস্য আশরাফ আলী হত্যা মামলায় পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল দুপুরে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক শাহানা হক সিদ্দিকা রায় ঘোষণা করেন। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আরো ১৩ আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত সব আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার ফুলহারা গ্রামের মো. শহীদের ছেলে মো. মঞ্জুর রহমান (২৭), ছুরমান খাঁর ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন (৩৫), রহিজ উদ্দিনের ছেলে মো. বাবুল মিয়া (৩৪), গগন খাঁর ছেলে মো. আজিজুল হক (২২) গগন খাঁর মেয়ে ফেলী বেগম (১৮) বেকসুর খালাসপ্রাপ্তরা হলেন: আনোয়ার হোসেন ওরফে গগন খাঁ (৪০), মো. শহীদ দেওয়ান (৫০), মো. রাজা মিয়া (২৩), মো. বেলায়েত হোসেন (৪২), মনোয়ারা বেগম (৫০), রাশিদা বেগম (২৮), রেহেনা বেগম (৩৮), মনোয়ারা বেগম (৫২), রেনু বেগম (৩৫), সেলিনা বেগম (৩০), মো. সায়েদুর রহমান (৩৫), মো. আরমান আলী (৩৮) রেজিয়া বেগম (৬০)

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ২০১৩ সালের ১৮ জুন বিকালে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে ইউপি সদস্য আশরাফ আলীকে গুরুতর আহত করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এরপর তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ১৯ জুন মধ্যরাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ঘটনায় নিহতের ভাই মুনসুর আলম বাদী হয়ে ২৫ জনকে আসামি করে ঘিওর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৪ সালের ৩১ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপুলিশ পরিদর্শক হাসমত আলী ১৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন আদালত। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১৩ জনকে বেকসুর খালাস দেন।

সন্তোষ প্রকাশ করে রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ছিলেন এপিপি অ্যাডভোকেট নিরঞ্জন বসাক আফসারুল ইসলাম মনি। এছাড়া আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট লুত্ফর রহমান।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন