ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই ৬২ আরোহী নিয়ে নিখোঁজ হওয়া উড়োজাহাজটির ‘ধ্বংসাবশেষ’ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। আজ রবিবার সাগর থেকে বেশ কিছু ‘ধ্বংসাবশেষ’ উদ্ধার করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, এগুলো নিখোঁজ হওয়া বোয়িং ৭৩৭-৫০০ উড়োজাহাজটির।
গতকাল শনিবার ইন্দোনেশিয়ার শ্রীবিজয়া এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজটি জাকার্তা থেকে ওয়েস্ট কালিমান্তান প্রদেশের রাজধানী পনতিয়ানাকে যাচ্ছিল। উড়োজাহাজটি উড্ডয়নের কয়েক মিনিট পর রাডার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ঘটনাস্থলে নৌবাহিনীর ডুবুরিরা অনুসন্ধান চালাচ্ছেন। সেখানে ১০টিরও বেশি জাহাজ মোতায়েন করা হয়েছে।
জাকার্তা পুলিশের একজন মুখপাত্র ইয়ুশ্রি ইউনুস জানিয়েছেন, উদ্ধারকারী সংস্থা তাদের এরই মধ্যে তারা দুটি ব্যাগ দিয়েছে। প্রথম ব্যাগটিতে যাত্রীদের জিনিসপত্র রয়েছে, অন্যটিতে যাত্রীদের দেহের বিচ্ছিন্ন বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ রয়েছে। এখনো অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।
গতকাল শনিবারই সেখানে উদ্ধারকাজ শুরু হয়। যা গভীর রাতে স্থগিত রাখা হয়েছিল। আজ রবিবার ভোরে তা আবার শুরু করা হয়।
দেশটির পরিবহনমন্ত্রী জানিয়েছেন, জাকার্তা থেকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম দ্বীপ বোর্নিও’র পশ্চিমের শহর পনতিয়ানাকে ফ্লাইটে সময় লাগে ৯০ মিনিট। গতকাল ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় ২টা ৩৬ মিনিটে উড্ডয়নের পর ৪ মিনিট পরে রাডার থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
ফ্লাইট ট্রাকিং সাইট ফ্লাইটরাডার২৪ এর তথ্য অনুযায়ী, ধারণা করা হচ্ছে, এক মিনিটেরও কম সময়ে উড়োজাহাজটি ১০ হাজার ফুট নিচে পড়ে গেছে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, তারা অন্ততপক্ষে একটি বিস্ফোরণ শুনেছেন এবং দেখেছেন।
সোলিহিনি নামে এক জেলে বিবিসিকে জানিয়েছেন, তারা মাছধরার নৌকা নিয়ে সাগরেই ছিলেন। তবে বিস্ফোরণের শব্দ শুনে তারা স্থলে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন।
তিনি বলেন, উড়োজাহাজটির বিদ্যুৎগতি সাগরে পতিত হয় এবং পানিতে বিস্ফোরিত হয়। এটা আমাদের খুব কাছাকাছিই ঘটেছে। এরপর ভাঙ্গা কাঠের মতো কিছু টুকরা আমাদের নৌকার কাছাকাছি এসে পড়ে।
