প্রতিষ্ঠার সাত বছর পর নতুন ট্রাস্ট খুলে বিশ্ববিদ্যালয় দখলের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টের অধীনে ২০১৩ সালে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (সিবিআইইউ) অনুমোদন দেয় সরকার। প্রতিষ্ঠার সাত বছর পর সম্প্রতি সালাহউদ্দিন আহমদ নামের একজন ট্রাস্টি সব প্রতিষ্ঠাতা সদস্যকে বাদ দিয়ে সম্পূর্ণ নতুন একটি ট্রাস্ট রেজিস্ট্রেশন করে নিজেকে প্রতিষ্ঠাতা দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয় দখলের চেষ্টা করছেন। 

পেশীশক্তি ব্যবহার করে নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অপকর্ম করছেন এই ট্রাস্টি। এমনকি এ জবরদখল ও লুটতরাজের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর নাম ব্যবহার করছেন তিনি। যদিও প্রতিষ্ঠাকালীন প্রপোজাল বুক, ট্রাস্ট ডিড এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়-বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) বিভিন্ন নথিপত্রে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে।

আজ বুধবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলে ধরা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মাহবুবা সুলতানা। 

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টের সেক্রেটারি ও সিবিআইইউ প্রতিষ্ঠাতা লায়ন মো. মুজিবুর রহমান, ট্রাস্টি সদস্য আবদুস সবুর ও ট্রাস্টি সদস্য আবদুল মাবুদ।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ট্রাস্টের সদস্য ও সাবেক চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দীন আহমদ লকডাউন চলাকালে কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে বিশ্ববিদ্যালয়ে একচ্ছত্র কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছেন। নিজেকে প্রতিষ্ঠাতা দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা পুনর্নির্ধারণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। যদিও প্রপোজাল বুক ও অনুমোদনপত্র অনুযায়ী সিবিআইইউ-এর প্রতিষ্ঠাতা লায়ন মো. মুজিবুর রহমান। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদনকালেও লায়ন মো. মুজিবুর রহামানকে উদ্যোক্তা হিসেবে চিঠি তেয় ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়। 

সংবাদ সম্মেলনে লায়ন মো. মুজিবুর রহমান বলেন, সালাহউদ্দিন আহমদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়ায় তাকে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এমনকি তার আগ্রহের কারণেই ট্রাস্টের চেয়ারম্যানও করা হয়। তবে তিনি অর্থ সংস্থান থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কর্মকাণ্ডে কোনো ধরনের সহযোগিতা না করায় ট্রাস্টিদের মতামতের ভিত্তিতে নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচন করা হয়েছে। এখন তিনি সেটা মেনে নিতে না পেরে অবৈধভাবে বিশ্ববিদ্যালয় দখলের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন। প্রতিষ্ঠাতা দাবিদার সালাহউদ্দিন আহমেদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইউজিসি এ বিষয়ে তদন্তও করছে।

দখলদার সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনগত কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন লায়ন মো. মুজিবুর রহমান।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন