বাইডেনের জয় কামনা করছে ন্যাটো

বণিক বার্তা ডেস্ক

নভেম্বরের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জো বাইডেন জিতলে তাকে স্বাগত জানাতে আগামী মার্চে ব্রাসেলসে একটি সম্মেলন আয়োজনের চিন্তা করছে নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন (ন্যাটো) আর যদি যুক্তরাষ্ট্র নতুন কোনো প্রেসিডেন্ট না পায়, অর্থাৎ বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হলে পরের বছরের প্রথমার্ধে সম্মেলন আয়োজনের পরিকল্পনা করছে সংস্থাটি। খবর রয়টার্স।

ট্রাম্প প্রশাসনের চার বছরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ন্যাটোর সম্পর্কের মারাত্মক অবনতি হয়েছে। পশ্চিমা জোটটির প্রতি আস্থা হারিয়ে ট্রাম্প একে নিষ্ক্রিয় বলে অভিহিত করেছেন। এছাড়া ন্যাটোর কিছু সদস্য দেশকে দুষ্কৃতকারী আখ্যা দিয়ে ২০১৮ সালে জোটটি থেকে নিজেদের সদস্যপদ প্রত্যাহারের প্রচ্ছন্ন হুমকিও দেন তিনি। শুধু তা- নয়, চলতি বছরের শুরুতে ট্রাম্প জার্মানি থেকে মার্কিন ট্রুপ ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দেন।

অবস্থায় বাইডেন নির্বাচিত হলে ন্যাটো বিষয়টিকে সাদরেই গ্রহণ করবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। এক্ষেত্রে ট্রান্সআটলান্টিক সম্পর্ক আরো জোরদারের সুযোগ তৈরি হবে বলে মনে করছেন তারা।

বিভিন্ন জনমত জরিপে এখন পর্যন্ত এগিয়ে রয়েছেন জো বাইডেন। ইউরোপীয়রা মনে করছেন, আসন্ন নির্বাচনে জয়ের মাধ্যমে তিনি হোয়াইট হাউজে এলে ট্রাম্পের আমেরিকা ফার্স্ট নীতি থেকে সরে আসবে যুক্তরাষ্ট্র। নীতির অধীনে ট্রাম্প জলবায়ু পরিবর্তন থেকে শুরু করে ইরানের পারমাণবিক চুক্তির মতো বিষয়গুলোয় ইউরোপীয় দেশগুলোর মতামতকে অবজ্ঞা করেছেন, যা তারা খুব একটা ভালোভাবে নেয়নি।

ব্রাসেলসে ন্যাটোর হেডকোয়ার্টারের একজন কূটনীতিক বলেছেন, ন্যাটোর বেশির ভাগ সদস্যই আগামী মাসের নির্বাচনে বাইডেনের জয় কামনা করছে। তবে ট্রাম্প পুনর্নির্বাচিত হলে অবশ্যই তার সঙ্গে কাজ করবে তারা।

নভেম্বরের নির্বাচনে বাইডেন জিতলে এবং মার্চে সম্মেলন হলে কী পরিবর্তন আসতে পারে, সে বিষয়ে ন্যাটোর আরেক কূটনীতিক বলেন, মার্চে সম্মেলন হলে তা বাইডেনকে ইউরোপ উত্তর আমেরিকার মধ্যকার ঐক্য ফিরিয়ে আনার প্লাটফর্ম তৈরি করে দেবে। এছাড়া ন্যাটোর সামনেও সুযোগ আসবে ট্রাম্প যুগকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়ার।

শেষ বিতর্কে থাকছে মিউট বাটন: নির্বাচনের আগে শেষ বিতর্কে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিকান দলীয় দুই প্রার্থীকে বাধাহীনভাবে কথা বলার সুযোগ দিতে মিউট বাটন রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। প্রথম বিতর্কে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থী একে অন্যের বক্তব্যে বাধা দিয়ে যে বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছিলেন, তা এড়াতেই এবার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। রিপাবলিকান শিবির পরিবর্তন নিয়ে আপত্তি জানালেও বৃহস্পতিবার রাতের বিতর্কে ট্রাম্প অংশ নেবেন বলে নিশ্চিত করেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন