একনেকে ১৬৫৯ কোটি টাকার চার প্রকল্প অনুমোদন

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নসহ (প্রথম সংশোধন) এক হাজার ৬৫৯ কোটি ৩৪ লাখ টাকা খরচে চারটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এর মধ্যে সরকারি ব্যয় হবে ৭৪০ কোটি ১৪ লাখ টাকা। আর ৯১৯ কোটি ২০ লাখ টাকার জোগান হবে বিদেশী অনুদানে।

আজ মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এসব প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। তার সঙ্গে ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। আর একনেক সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী-সচিবরা রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত এনইসি সম্মেলন কক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একনেক সভায় অংশ নেন।

সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, আজকের একনেকে তিনটি সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন (প্রথম সংশোধন)’ প্রকল্প, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘চট্টগ্রাম জেলা উপকূলীয় এলাকার পোল্ডার নং-৬২ (পতেঙ্গা), পোল্ডার নং-৬৩/১ বি (আনোয়ারা এবং পটিয়া) পুনর্বাসন’ প্রকল্প, স্থানীয় সরকার বিভাগের ‘জরুরি ভিত্তিতে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় মাল্টি-সেক্টর প্রকল্প’ এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের ‘হাতেকলমে কারিগরি প্রশিক্ষণে মহিলাদের গুরুত্ব দিয়ে বিটাকের কার্যক্রম সম্প্রসারণপূর্বক আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্যবিমোচন (ফেজ-২)’। 

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশোধনীতে প্রকল্পটির খরচ বাড়ানো হয়েছে। তবে এর সময়কাল আগের মতোই রয়েছে। সংশোধনীতে প্রকল্পে ৪৯১ কোটি ৩৪ লাখ থেকে খরচ বেড়ে ৮৪০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। ২০১৮ সালের জানয়ারি থেকে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘চট্টগ্রাম জেলা উপকূলীয় এলাকার পোল্ডার নং-৬২ (পতেঙ্গা), পোল্ডার নং-৬৩/১ বি (আনোয়ারা এবং পটিয়া) পুনর্বাসন’ প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধন আনা হয়েছে। এতে খরচও বাড়ছে, সময়ও বাড়ছে। ২৮০ কোটি ৩০ লাখ থেকে খরচ বেড়ে প্রথম সংশোধনীতে হয় ৩২০ কোটি ২৯ লাখ এবং আজ সংশোধনের পর আরও বেড়ে দাঁড়াল ৫৭৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা। ২০১৬ সালের মে মাসে শুরু হওয়া প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২০ সালের জুন থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত।

স্থানীয় সরকার বিভাগের ‘জরুরি ভিত্তিতে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় মাল্টি-সেক্টর’ প্রকল্পটির প্রথম সংশোধন আনা হয়েছে। এই প্রকল্পটিরও ব্যয় ও সময়ও বেড়েছে। এক হাজার ৫৭ কোটি ৮৪ লাখ থেকে ব্যয় বেড়ে এক হাজার ৯৮৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া প্রকল্পটি ২০২১ সালের নভেম্বরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন হবে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের ‘হাতেকলমে কারিগরি প্রশিক্ষণে মহিলাদের গুরুত্ব দিয়ে বিটাকের কার্যক্রম সম্প্রসারণপূর্বক আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্যবিমোচন (ফেজ-২)’ নামে একটি নতুন প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে একনেক সভায়। এতে খরচ করা হবে ১২৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা। ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

একনেক সভায় আরও অংশ নেন- কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম; শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি; শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন; স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন; ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন