পদ্মায় তীব্র ভাঙন

এক রাতে বিলীন শহর রক্ষা বাঁধের ৩০০ মিটার এলাকা

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, রাজবাড়ী

পদ্মায় পানি বাড়ায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে রাজবাড়ীতে। গত সোমবার রাতে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে শহর রক্ষাবাঁধ প্রকল্পের পাইলিংয়ের অন্তত ৩০০ মিটার এলাকা বিলীন হয়ে গেছে।

সরেজমিন গতকাল সকালে শহরের গোদার বাজার এলাকায় দেখা যায়, সেখানে তীব্র স্রোতের কারণে এখনো ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বালির বস্তা ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, গত সোমবার রাত ১১টায় হঠাৎ ভাঙন শুরু হয় গোদার বাজার এলাকায়। মুহূর্তেই নদীগর্ভে চলে যায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তৈরি বিশ্রাম নেয়ার স্থান রাজবাড়ীর একমাত্র বিনোদনের স্পট বন্ধনসহ শহর রক্ষাবাঁধ প্রকল্পের স্থায়ী পাইলিংয়ের অন্তত ৩০০ মিটার এলাকা। এছাড়া গত কয়েক দিনের পানি বাড়ায় ভাঙন দেখা দিয়েছে গোয়ালন্দ উপজেলার দেবোগ্রাম দৌলতদিয়া ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি স্থানে।

সময় গোদার বাজার এলাকার বাসিন্দা হাফেজা খাতুন বলেন, সোমবার রাতে ভাঙনে গোদার বাজার এলাকার শত শত বাসিন্দা আতঙ্কে নদী পারেই নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে।

খয়বর হোসাইন বলেন, ভাঙন রাজবাড়ীর নতুন কিছু নয়। প্রতি বছরই ভাঙে, তবে কাজটা স্থায়ী ভালো মানের না হওয়ায় ভোগান্তি কাটছে না। সরকারের কাছে এখনই জোরালো পদক্ষেপ নেয়ার জোর দাবি জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, পদ্মার ভাঙনে এখন ঝুঁকিতে আছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, শত শত বসতবাড়িসহ রাজবাড়ী শহর রক্ষাবাঁধ।

ভাঙন এলাকা ঘেঁষেই রয়েছে জিনিয়াস ইট ভাটা। ভাটার মালিক মো. আল আমিন জানান, রাজবাড়ী শহর রক্ষাবাঁধের কাজ চলমান। গত বছর পদ্মার ভাঙনের কারণে আমাদের ভাটা একাংশ নদীগর্ভে চলে গেছে। বারবার বলার পরও কর্তৃপক্ষ জোরালো পদক্ষেপ নেয়নি। চলতি বছরও যেভাবে ভাঙছে তাতে আমাদের ইট ভাটাসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নদীগর্ভে চলে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) রাজবাড়ীর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আহাদ বলেন, ভাঙনের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। সেই সঙ্গে জরুরিভিত্তিতে জিওব্যাগ ফেলা শুরু হয়েছে। তাত্ক্ষণিকভাবে ভাঙন এলাকায় আটটি ট্রাকে করে বালি এনে দুই হাজার বস্তা বালি ফেলার কাজ চলমান আছে। ভাঙন রোধে সব ধরনের প্রস্তুতি আছে আমাদের, যেকোনো ভাবেই আমরা ভাঙন রোধ করতে পারব।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন