ফ্লোরিডায় প্রধানমন্ত্রীর সাদামাটা দিনগুলো

ড. এ কে আব্দুল মোমেন

জিজ্ঞেস করলাম, ‘১০৯ নং এভিনিউটা কোন দিকে?’

বলল, এলাকায় তো কোনো ১০৯ নং এভিনিউ নেই। তখন ঠিকানা দেখিয়ে বললাম যে আমি ঘণ্টা খানেক ধরে ঠিকানাটা খুঁজে বেড়াচ্ছি।

ঠিকানা দেখে বলল, ‘এটা তো এখানেই। এই এনক্লেবের ভেতরেই এটা। গেট পাস করে বাঁয়ে মোড় নিয়ে প্রথম ডানে গেলেই দেখতে পাবেন নং বিল্ডিংটি।বিল্ডিংয়ের নম্বরটি এক্কেবারে ওপরে লেখা রয়েছে এবং তার নিচে রয়েছে অ্যাপার্টমেন্ট নম্বর। মেয়েটি গেটের পাশে বেলুন ঝোলাচ্ছিল। বললাম, ‘বেলুন দিয়ে সাজাচ্ছ কেন?’ বলল, ‘Open house আছে, অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রির জন্য। খুব ভালো এবং সস্তা।ধন্যবাদ দিয়ে নম্বর দিয়ে গেটে গিয়ে দেখি গেট খোলার জন্য প্রয়োজন রেসিডেন্টের কোড নম্বর। কোড নম্বর দিয়ে ফোন করলে ভেতর থেকে গেট খোলা হয়। কয়েকশত রেসিডেন্ট থাকেন অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে। প্রত্যেকের শেষ নাম দিয়ে কোড নম্বর বের করতে হয়।

মিন্টো’, ‘পুতুল’, ‘ওয়াজেদ’, ‘হাসিনা’, ‘শেখসবগুলো চেষ্টা করে যখন ব্যর্থ হলাম তখন লাইনে আরো কয়েকটি গাড়ি জমে গেছে। ভাগ্য ভালো এক সুন্দর সুদর্শনা তরুণী এলেন সাহায্য করতে। হঠাৎ করে মনে পড়ল পুতুলের স্বামীর শেষ নামহোসেন তরুণী তাই দিয়ে কোড নম্বর বের করে ফোন করলে যিনি ধরলেন, তিনি হয়তো বিদেশী গলার আওয়াজ শুনে ফোন রেখে দিলেন। ভদ্রমহিলাকে সবিস্তারে বললাম, ‘ওখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকেন এবং উনার সাথে আমার সাক্ষাত্কার আছে।ভদ্রমহিলা সবকিছু শুনে জানি আঁতকে উঠল। বলল, ‘You may be right, there is a police car for last few days and some people from your country walks around. I can’t believe it’s a Prime Minister, they should stay in a big hotel or a villaযাই হোক ভদ্রমহিলা নিজের কোড দিয়ে গেটটি খুলে দিল। ভেতরে ঢুকে তার জন্যে অপেক্ষা করলাম। সে এলে পর তাকে ধন্যবাদ দিলাম। সে বলল, সে ওখানেই দোতলায় থাকেবলল এটা নিরিবিলি মিডলক্লাস নেইবার। যাহোক অকুস্থলে পৌঁছে দেখি সাদামাটা বিল্ডিং। ভেবেছিলাম হয়তো কোনো আলাদা বিল্ডিং হবে। তবে এমন নয়। একই বিল্ডিংয়ে বহু অ্যাপার্টমেন্ট। দুটো অ্যাপার্টমেন্ট অফিস নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এবং বাসস্থান। তিনি তিনতলায় থাকেন এবং দোতলায় অফিস। ওখানে ঢোকার পথে দুজন সিকিউরিটির লোকএকজন বাংলাদেশী এবং অন্যজন আমেরিকান। প্রত্যেক অ্যাপার্টমেন্টে দুটো বা তিনটে বেডরুম, তবে অতি সাধারণ এবং ছোটখাটো। বিল্ডিংয়ের পাশের সিঁড়ি দিয়ে গেলে আরো দুটো অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে বাংলাদেশ সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীনে। একটিতে রয়েছে দূতাবাসের দপ্তর। অন্যটাতে স্টাফরা বসেন এবং এটা তাদের বসতবাড়ি এবং অন্যটিতে রয়েছেন বাংলাদেশ থেকে আগত কয়েকজন সিকিউরিটি অফিসার। প্রধানমন্ত্রীর স্টাফ বলতে রয়েছেন শুধু তার একজন সহকারী একান্ত সচিব এবং মোটামুটি বাদবাকিরা সিকিউরিটির লোকজন। দূতাবাসের একজন অফিসার ড্রাইভার রয়েছেন ওখানে। সারাটি অফিসের জন্যে একটি মাত্র ভ্যান রয়েছে দূতাবাসের নিয়ন্ত্রণে। ওটা ওয়াশিংটন দূতাবাস থেকে এসেছে, ভাড়া করা নয়। সুতরাং এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়ানোর ব্যবস্থা নেই খুব একটা।

অফিসাররা পালাবদল করে রান্নাবান্না করেন নিজেদের জন্য। তবে প্রধানমন্ত্রীর জন্য রাষ্ট্রদূত তার নিজের বাবুর্চিকে দেনা দিয়েছেন কিছুদিনের জন্য। স্থানীয় বাংলাদেশীদের অধিকাংশই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের ঠিকানা জানেন না এবং তার ফলে কোনো বাংলাদেশীর তাতে ভিড়ও নেই এক্কেবারে। আর যারা জানেন তারা ভিড় জমান না এজন্য যে প্রধানমন্ত্রী মেয়ের কাছে ছুটি কাটাতে এসেছেন। সুতরাং তাকে বিরক্ত না করাই ভালো, এজন্য। তবে প্রধানমন্ত্রী রীতিমতো দপ্তরে বসেনদু-একটি ফাইল বা সারসংক্ষেপ পড়লেন মনোযোগ সহকারে। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে কবি নজরুলেরসঞ্চিতাএবং কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরেরসঞ্চয়িতাপুস্তকদ্বয়। সাক্ষাৎ প্রার্থীদের টেবিলে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর ছবি, রয়েছে অফিস কক্ষে এবং জাতীয় পতাকা। তবে অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে বিল্ডিংয়ের সামনে বা প্রবেশপথে কোনো বাংলাদেশী পতাকা নেই। হয়তো সিকিউরিটির কারণে বাইরে জাতীয় পতাকা রাখা হয়নি।

সিকিউরিটি অফিসাররা পালাবদল করে পাহারা দেন। আর বাকি সময় আড্ডা মেরে কাটান। তাদের সবার গল্প শুনে মনে হলো ১৯৭১ সালের অবস্থা। ১৯৭১ সালে হানাদার বাহিনীর হাত থেকে রক্ষার জন্য যখন শহর থেকে পালিয়ে গিয়ে গ্রামে উঠি তখন প্রথম কয়েকদিন হাতে কাজ ছিল না এবং অনেক পরিবার এক জায়গায় উঠেছি। ঘরে থাকার জায়গা নেইমাটিতে চৌকিতে যে যেখানে পারছি শোয়ার আয়োজন হয়েছে। এখন তা চিন্তা করলে অবাক লাগে। মনে পড়ে সিলেটের ফুলবাড়ির লুবান চৌধুরীর বাড়িতে আমরা সবাই গিয়ে উঠেছি। চৌকির নিচে ইট দিয়ে এটাকে উঁচু করা হয়েছে। চৌকির ওপরে শোবার ব্যবস্থা হয়েছে তত্কালীন সিলেটের সোনালী ব্যাংকের আঞ্চলিক ম্যানেজারের পরিবারের সদস্যদের এবং চৌকির নিচে দেয়া হয়েছে আমায় বা ছেলেদের। চৌকির ওপরে মেয়েরা এবং নিচে পুরুষরা। ভিন্ন পরিবারের লোক আমরা, তবে বিপদে সবাই এক অভিন্ন। হাতে কাজ না থাকায়গল্পগুজব এবং খেলাছিল তখন মুখ্য। দিনের পর দিন, রাতের পর রাত কেটেছে গল্পগুজবে।বৈঠিকরের যুদ্ধেরপূর্ব পর্যন্ত প্রায় দুই সপ্তাহ কেটেছিল এভাবে। তখন ছিল এপ্রিল মাসস্বাধীনতা সংগ্রামের প্রথম পদক্ষেপ।

তবে ১৯৭১ ১৯৯৬-এর মধ্যে আকাশসম তফাত রয়েছে। তখন ছিল অনিশ্চয়তা, ‘আকাশ বাণীএবং বিশেষ করেস্বাধীন বাংলা বেতারছাড়া আমাদের আর কোনো কিছু ছিল না। এখানে সব আছেটেলিফোন, ফ্যাক্স, রেডিও, টিভি, সেলুলার, ওয়াকিটকি; শুধু নেইঅনিশ্চয়তা জিজ্ঞেস করলাম যে দূর থেকে লোকজন নিশ্চয়ই মনে করবে প্রধানমন্ত্রী বিদেশে হাজার হাজার ডলার খরচ করে দপ্তর খুলেছেনতা নিয়ে কথা উঠবে। একজন সরকারি কর্মচারী বললেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নিজে সব সময় খরচ কীভাবে কমানো যায় তা তদারকি করেন। সে কারণে শুধু একটি গাড়ি এবং আসবাবপত্রের অপ্রতুলতা।আরো জানা গেল যে ফেব্রুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী যখন সফর করেন তখন তার থাকা খাওয়া বাবদ সরকারি পয়সা তিনি খরচ করেননি। যারা তাঁকে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে এসেছিলেন ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদানের জন্য তারাই তাঁর এবং তাঁর সফরসঙ্গীদের থাকার ব্যবস্থা করে। তবে প্রশ্ন হতে পারে, সরকারি কর্মচারী যারা তাঁর সফরসঙ্গী হিসেবে বিদেশে আসেন এবং তারা পাই পাই করে নিজেদের পাওনা বা এনটাইটেলড দৈনিক ভাতা গ্রহণ করেন তারা কি তাদের দেয় টাকার কোনো অংশ প্রধানমন্ত্রীর সফর তহবিলে ফ্রি বাসস্থানের জন্য প্রদান করেন? যদি না করেন তাহলে সরকার ব্যাপারে মনোযোগী হতে পারেন।


প্রধানমন্ত্রীর ধরনের ছুটি বা অবকাশের প্রয়োজন মাঝে মাঝে। এজন্যই বুঝি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট প্রতি বছর কিছুদিনের জন্য অবকাশে যান কোনো রিজোর্ট এলাকায়। তবে অবকাশেও সরকারি কাজ করেন। তিনি কখনো তার দায়িত্ব অন্যের হাতে হস্তান্তর করেন না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানালেন যে গত এক বছর দিনরাত তিনি কাজ করছেন, অনেকগুলো বড় বড় সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন, যা জাতির জন্য উপকারী। তবে স্বদেশের প্রায় ৫২টি পত্রিকা রয়েছে তাদের লেখনিতে এগুলো সোচ্চারভাবে ফুটে ওঠেনি। তিনি বলেন, তিনি সম্পূর্ণভাবে ওয়াকিফহাল আছেন যে অফিস-আদালতে কাজ অগ্রসর হয় না, ঘুষ-চুরি চলছে। তিনি বলেন, এগুলো দূর করার জন্যে বিরোধী দলের সাহায্য চাই। তারা সহযোগিতার হাত সম্প্রসারিত করেননি। তাছাড়া তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অবস্থা আমেরিকার মতো নয়। ইচ্ছা করলেই কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা যায় না। ওরা কোর্টে চলে যাবে, তার চাকরির একটা রীতি আছে।সুতরাং চাইলেই করা সম্ভব নয়। তবে তিনি বলেন, ‘একনাগাড়ে পাঁচদিন অফিস চালু রাখার কাজ করলে হয়তো কিছুটা অগ্রসর হবে।তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘যাবেন কোথায়? সরকারি দপ্তরে সমস্যা আছে, তবে বেসরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে বিশেষ করে যেখানেই সরকারি অনুদান রয়েছে সেখানে সমস্যা আরো অধিক। সবাই সরকারের পয়সা লুটে খাওয়ার তালে আছে।তিনি বলেন, ‘যেহেতু তার দপ্তর ঘুষ-চুরি বরদাশত করে না, সেজন্য এখনো মন্ত্রী পর্যায়ে সবাই সৎ রয়েছেন।তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থায় দেশকে ত্বরিত বেগে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সহজ নয়। তবে তাঁর ঐকান্তিক ইচ্ছা মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য স্থায়ী ব্যবস্থা করে যাওয়া। দক্ষিণ কোরিয়ার জেনারেল পার্ক এবং সিঙ্গাপুরের লি কোয়ান কীভাবে কাজ ত্বরান্বিত করার জন্য অফিসারদের দায়িত্ব নির্দিষ্ট করে দিয়েছিলেন, কীভাবে কাজটি সুচারুরূপে করতে পারলে ওই অফিসারকে পুরস্কার বা পদোন্নতি দেয়া হতো এবং কাজটি ঠিকমতো না করলে তাদের

চাকরিতেDemotionকরা হতো বা চাকরিচ্যুত করা হতো জানালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ওদের দেশে একটি পত্রিকা ছিল। আমার দেশে আইন আর পত্রিকার হলহলাওদের মতো সহজ অবস্থান আমার নয়।তিনি বলেন, এক বছরে তার সরকার যা করেছে, পূর্ববর্তী সরকার পাঁচ বছরেও তা করতে পারেনি। তিনি স্বীকার করেন যে বাংলাদেশের সরকারি দপ্তরের প্রশিক্ষণ হচ্ছে, ‘মানুষের সেবা নয়, জনগণের নিয়ন্ত্রণ শাসন। ব্যাপারে কী করা যায় তা তিনি জানতে চান। তিনি স্বীকার করেন যে সরকারি দপ্তরে কী কাজ, মন্থরগতিতে সম্পন্ন হলে এটা হবে তারই বদনাম। বৈদেশিক বিনিয়োগকারীরা যারা একবার বাংলাদেশে যান তারা তখন উত্সাহ হারিয়ে ফেলেন অযথা সরকারি রীতিনীতির জন্য, জানানো হলে তিনি বলেন, ‘ইপিজেডে ধরনের দীর্ঘসূত্রতা কম।বিনিয়োগ না হলে চাকরির সৃষ্টি হবে না। চাকরি না হলে জনগণের উন্নয়ন হবে নাপ্রধানমন্ত্রী তা স্বীকার করেন। তাকে তখন জানানো হলো যে একাথিক পরিকল্পনা হাতে না নিয়ে একটি-দুটি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ করতে। তাকে বলা হলো যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রিগান ছুটি কাটিয়েছেন অধিকাংশ সময়।

তবে তিনি দুটো কাজ করেছেন যার জন্য দু-দুবার নির্বাচিত হযেছেন এবং সুনামও অর্জন করেছেন ঐতিহাসিকভাবে। দুটো হলো . সরকারকে ছোট করেছেন এবং . সোভিয়েত ইউনিয়নকে ভেঙেছেন। তার একাধিক দোষ থাকা সত্ত্বেও আমেরিকানবাসী তাকে অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিবেচনা করে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকারও একটির পর একটি জাতীয় সমস্যা দূর করার চেষ্ট করছে। তবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রেনুন আনতে পানতা ফুরায়।একটিতে জোর দিতে গেলে অন্যদিকে হাহাকার শুরু হয়। সুতরাং বাস্তবতাকে সামনে সেখে কাজ করতে হয়।

প্রধানমন্ত্রীকে জানালাম যে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ডা. মাহাথির যখন দেশে ছুটি কাটাতে এসেছিলেন তখন তিনি ছুটির ফাঁকে ফাঁকে বিদেশী বিনিযোগকারীদের সঙ্গে দেখা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী অনুরূপ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংলাপ আয়োজন করতে বললে ফ্লোরিডায় আমেরিকার অনেক বড় বড় বিনিয়োগকারীকে দাওয়াত দিই, যাতে মিসেস বারবারা বোস এবং তার ছেলে গভর্নর বোস উপস্থিত ছিলেন। তাছাড়া ওই নৈশভোজে আমেরিকার কয়েকজন কংগ্রেসম্যান বড় বড় ব্যবসায়ী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ওয়ান-টু-ওয়ান আলাপ করেন। বাংলাদেশ থেকে তত্কালীন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জনাব জিল্লুর রহমান তাঁর স্ত্রী আইভি রহমানও ওই নৈশভোজে উপস্থিত ছিলেন। তাছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাধারণ গাড়িতে করে মিয়ামি শহরের সারি সারি বাতি, যা খেজুর গাছের পরতে পরতে সাজানো আছে এবং বড় একটি মলেও সাধারণ ক্রেতার মতো দোকানগুলো ঘুরে দেখেন। একটি স্বাধীন দেশের সরকারপ্রধান হয়েও তিনি অকপটে একটি ছোট্ট পিজার দোকানে সাধারণ ক্রেতার সঙ্গে মিশে পিজা খেলেন খাওয়ালেন। তাছাড়া ওই ছোট্ট অ্যাপার্টমেন্টে যেদিনজয়আসে সেদিন নিজ হাতে রান্না করে আমাদের আপ্যায়ন করান। বাংলাদেশের অন্য কোনো সরকারপ্রধান কাজটি কোনোদিন করেছেন বলে আমার জানা নেই।

 

. কে আব্দুল মোমেন: মন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন